বলিউড হিরোদের নিত্য নতুন হেয়ারস্টাইল। নিজেদের লুক নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে সব সময়ই পছন্দ করেন অভিনেতারা। কিন্তু আপনি কি জানেন, এই হিরোদের অনেকেরই মাথায় চুল নেই। বাধ্য হয়ে তাঁরা নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন। অন্তত ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সূত্র থেকে এমনই শোনা যায়। তালিকায় কারা রয়েছেন, গ্যালারির পাতায় দেখে নিন।
‘সুলতান’ ছবির পর পরই নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছিলেন সলমন খান। মাথায় চুল এতটাই কমে গিয়েছিল যে, কোনওরকম নতুন লুক ট্রাই করতে পারছিলেন না অভিনেতা। সে কারণেই দুবাইয়ের এক বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকের কাছে হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করান সলমন।
অমিতাভ বচ্চনও নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন। ন’-এর দশকের শেষের দিক থেকেই মাথায় চুল কমতে শুরু করেছিল বিগ বি’র। ২০০০ সালে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’-তে কামব্যাক করেছিলেন তিনি। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, তার আগেই নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করান অমিতাভ।
বলিউডের ‘খিলাড়ি’রও নাকি ‘হেয়ারিটেলস’ রয়েছে! ৪০ বছর পার করার পর থেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন অক্ষয় কুমার। ফলে হেয়ার উইভিং করাতে হয়েছিল তাঁকে। ইন্ডাস্ট্রিতে শোনা যায়, মাঝে মাঝে সে কারণেই নাকি দক্ষিণ আফ্রিকা যান অক্ষয়।
মনে করে দেখুন, দীর্ঘ একটা সময় দর্শকদের সামনে আসতেন না গোবিন্দ। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, ২০১২ সালে গ্রিসে গিয়ে নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছিলেন গোবিন্দ। তার পরে ‘কিল দিল’, ‘হ্যাপি এন্ডিং’-এর মতো বেশ কয়েকটি ছবিতে তাঁকে অন্য লুকে দেখা গিয়েছে।
তালিকায় নাকি রয়েছেন সঞ্জয় দত্তও। ‘অগ্নিপথ’ ছবিতে একেবারে মাথা কামিয়ে ফেলার পর নাকি সঞ্জয় ‘ফলিকিউলার ইউনিট ট্রান্সপ্লান্ট’ করিয়েছিলেন। যদিও শোনা যায়, তার বহুদিন আগে থেকেই চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছিলেন সঞ্জু বাবা।
টেলিভিশনের কমেডি কিঙ্গ। হ্যাঁ, কপিল শর্মাও নাকি রয়েছেন তালিকায়। প্রথম দিকের কপিল শর্মার হেয়ারস্টাইল এবং বর্তমান চুলের ছাঁট ভাল করে দেখলেই বোঝা যাবে কপিলও হেয়ার ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছেন।
টাক ঢাকার জন্য এক সময় মাথায় টুপি ছাড়া বেরতেন না হিমেশ রেশমিয়া। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই তাঁর লুক একেবারে বদলে গিয়েছে। এখন তাঁর সুন্দর, স্মুথ ও সিল্কি চুল দেখলে যে কারও হিংসেও হতে পারে। কিন্তু ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুঞ্জন, এ সবই নাকি হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টের ফল।
আদিত্য পাঞ্চোলির টাক মাথায় ছবি সকলেরই মনে থাকার কথা। তাঁরও ৯-এর দশকের শেষের দিকে মাথার চুল একেবারেই ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু উইগ ব্যবহার করতে নারাজ অভিনেতা, সোজা হেয়ার ট্রান্সপ্লান্টেরই সাহায্য নিয়েছিলেন। ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, আদিত্যও নাকি দুবাইতে ট্রান্সপ্লান্ট করিয়েছিলেন।