লেট নাইট পার্টি হোক বা ফিল্ম স্ক্রিনিং— এ সবের জন্য নিজেদের বাড়িকেই অনেক সময়ে বেছে নেন বলি সেলেবরা। আর তার জেরে তাঁদের পড়শিদের সারারাত বারান্দায় হেঁটে বেড়াতে হয়! আরও বেশ কিছু কারণেই সেলেবদের প্রতিবেশীদের অভিজ্ঞতা একটু তিতকুটে। জেনে নেওয়া যাক সেই সেলেবদের তালিকায় কারা রয়েছেন।
‘কি অ্যান্ড কা’ ছবিটির প্রাইভেট স্ক্রিনিং নিজের বাড়িতেই করেছিলেন করিনা কপূর। আর সেই স্ক্রিনিং-এ ছিলেন বহু তারকা। বহু রাত অবধি করিনার বাড়িতে চলেছিল পার্টি। শেষমেশ অতিষ্ঠ হয়ে পুলিশকে ডেকে পার্টি থামাতে হয় করিনার প্রতিবেশীদের।
প্রতীক নিরাজ পাসরানি নামের এক ব্যক্তি বাস করেন অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলির ঠিক বাড়ির পাশেই। আদিত্যের এক বন্ধু এসে প্রতীকের বাড়ির সামনে নিজের গাড়িটি পার্ক করেন। তা নিয়ে আদিত্য পাঞ্চোলির বাড়ির ওয়াচম্যানকে প্রতীক নিরাজ অভিযোগ জানালে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠেন আদিত্য। এমনকি প্রতীক নিরাজ থানাতেও আদিত্য পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে নাকে ঘুসি মারার অভিযোগ করেছিলেন।
২০১৫ সালে প্রীতি জিন্টার ফ্ল্যাটের লোকজন তাঁর উপর খুবই রেগে গিয়েছিলেন। প্রীতির বিরুদ্ধে অভিযোগ, বাচ্চাদের সরিয়ে দিয়ে ফ্ল্যাটের বাগানে একা হাঁটতেন প্রীতি। একাই ফ্ল্যাটের সুইমিং পুল ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগ। আর বাচ্চাদের সরাতেন প্রীতির বাউন্সার।
ক্যাটরিনা কইফের সঙ্গে ব্রেক আপের পর রাতভর পার্টি করতেন রণবীর কপূর। আর সেই পার্টি চলত প্রায় ভোর চারটে অবধি। মিউজিকের শব্দ কমাতে পড়শিরা হাজার অনুরোধ করলেও কমত না আওয়াজ। অনেক সময়েই পুলিশ ডেকে পার্টি বন্ধ করতে হত রণবীরের পাড়ার লোকজনকে।
নিজের সুবিধার্থে ফ্ল্যাটের লিফ্ট বন্ধ করে রাখতেন রানি মুখোপাধ্যায়। রানির নামে এমনই অভিযোগ করেছিলেন তাঁর কমপ্লেক্সের বাসিন্দারা। তবে রানির বিয়ের পর বোধ হয় স্বস্তিতেই আছেন ওই সোসাইটির লোকজন।
পানভেলে একটি ফার্ম হাউস রয়েছে সলমন খানের। বন্ধুদের সঙ্গে প্রায়শই সেই ফার্ম হাউসে পার্টি করতে যান বলিউডের ভাইজান। সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি আস্তে আস্তে অন্যদের জায়গাও জবর দখল করে নিচ্ছেন। ১৯৯৬ সালে ‘কক্করস’ নামক একটি সংস্থা সলমনের ওই ফার্ম হাউসের পাশেই জায়গা কেনে। ওই কোম্পানির তরফে সলমনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল।
লোখন্ডওয়ালায় একটি ফ্ল্যাট ছিল ঐশ্বর্যার। অভিযোগ, সলমন এবং ঐশ্বর্যা দু’জনের বিরুদ্ধেই। এক দিন ঐশ্বর্যার ওই ফ্ল্যাটের দরজায় বহু বার কড়া নেড়েছিলেন সলমন। বহু রাত অবধি ডাকা সত্ত্বেও ঐশ্বর্যা দরজা খোলেননি। এ নিয়েই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ঐশ্বর্যার ফ্ল্যাটের লোকজন।
সমুদ্রের ধারে শাহিদ কপূরের স্বপ্নের বাড়ি তৈরি করতে সময়ে লেগেছিল বেশ কিছু মাস। আর এই বাড়ি তৈরির শব্দে শাহিদের প্রতিবেশীদের খুবই অসুবিধা হত বলে পুলিশে অভিযোগ করেছিলেন তাঁরা। এমনকি, যাঁরা কাজ করছিলেন তাঁরা মূত্রত্যাগ করতেন পড়শিদের বাড়ির সামনে! শেষমেশ শাহিদ কপূরের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ করেন তাঁর কয়েক জন প্রতিবেশী।
শক্তি কপূরের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, কমপ্লেক্সের লিফ্টের দরজায় দাঁড়িয়ে মূত্রত্যাগ করছিলেন। এমনকি এ-ও অভিযোগ উঠেছিল যে, নগ্ন অবস্থায় নিজের বারান্দায় ঘোরাফেরা করতেন ওই অভিনেতা। তবে এ সব কথা গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শক্তি। বলেছিলেন, পড়শিরা সকলে আমার বন্ধু।
অমিতাভ বচ্চনের বিরুদ্ধে আবার অভিযোগ করেছিলেন এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। অভিযোগ, রাত অবধি বিগ বি’র অফিস তৈরির কাজ হচ্ছিল। আর সে আওয়াজে ঘুমোতে না পেরে অমিতাভকে সে কথা জানিয়েছিলেন ওই রাজনীতিবিদ। যদিও অমিতাভের সঙ্গে কথা বলার পরেই মিটে গিয়েছিল সে সমস্যা।