দীর্ঘ দিন একে অপরের সঙ্গে মেশার পরই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু জীবনের শেষ পর্যন্ত সেই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে পারেননি। কেউ মিউচুয়ালি তো কেউ অনেক লড়াই-ঝগড়ার পর ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেন। এই বলি তারকাদের একদা প্রেমের সম্পর্ক বদলে গিয়েছে শকিং ডিভোর্সে।
আমির খান- রীনা দত্ত: ১৯৮৬ সালে দু’জনের বিয়ে। তার ১৫ বছর পর ডিভোর্স। কেন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত? আমিরের জীবনে তখন কিরণ রাওয়ের গুরুত্ব বাড়ছিল। সেটা মানতে পারছিলেন না রীনা। ২০০২ সালে আমির-রীনার ডিভোর্স হয়। ২০০৫ সালে কিরণ রাওকে বিয়ে করেন আমির।
কমল হাসান-সারিকা: দীর্ঘ দিন লিভ-ইন রিলেশনে থাকার পর এবং প্রথম সন্তান শ্রুতি ও দ্বিতীয় সন্তান আকসারার জন্মের পর ১৯৮৬ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। আর ২০০৪ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ।
কিশোর কুমার-যোগিতা বালি: জীবনে তৃতীয় বারের জন্য প্রেমে পড়েছিলেন অভিনেতা এবং গায়ক কিশোর কুমার। ১৯৭৬ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। এর আগে তাঁর জীবনে ছিলেন রুমা গুহ ঠাকুরতা এবং মধুবালা। কিন্তু তৃতীয় প্রেমও খুব বেশি দিন টেকেনি। বিয়ের মাত্র দু’বছরের মধ্যেই যোগিতা-কিশোরের বিচ্ছেদ হয়। তারপর লীনা চন্দ্রভারকারকে বিয়ে করেন কিশোর কুমার। যোগিতার বিয়ে হয় মিঠুন চক্রবর্তীর সঙ্গে।
মালাইকা অরোরা-আরবাজ খান: ১৮ বছর এক সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালে দু’জনে আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৭ সালে তাঁদের মিউচুয়াল ডিভোর্স হয়। তাঁদের সন্তান মালাইকার কাছে থাকে। তবে আরবাজ চাইলেই তার সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
ফারহান-অধুনা: অভিনেতা, পরিচালক, গায়ক ফারহান ২০০০ সালে বিয়ে করেন অধুনাকে। ১৬ বছর এক সঙ্গে থাকার পর ২০১৬ সালে তাঁরা মিউচুয়াল ডিভোর্সের আবেদন করেন। এর পর অবশ্য ফারহানের সঙ্গে শ্রদ্ধা কপূরের নাম জড়ায়। আর প্রাক্তন স্ত্রী অধুনার সঙ্গে দিনো মারিয়ার ভাই নিকোলের সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয়।
হৃতিক রোশন-সুজান খান: প্রথম ফিল্ম রিলিজের কয়েক মাস পরেই ছোটবেলার বন্ধু সুজানকে বিয়ে করেন হৃতিক। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে বিয়ের ১৩তম বিবাহ বার্ষিকীতেই তাঁরা আলাদা হওয়ার কথা ঘোষণা করেন। তারও ৪ বছর পর ২০১৪ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয়। তবে ছেলেরাই তাঁদের প্রথম গুরুত্ব। তাদের জন্য হৃতিক-সুজানকে এক সঙ্গে সময় কাটাতেও দেখা গিয়েছে বহু বার।
কর্ণ সিংহ গ্রোভার-জেনিফার উইনজেট: ছোট পর্দার মোস্ট লভড্ জুটি ছিলেন তাঁরা। ২০১২ সালে বিয়ে হয় তাঁদের। কিন্তু বিপাশা বসুর সঙ্গে ২০১৫-র ‘আলোন’ ছবিতে অভিনয় করা থেকেই দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে। সম্পর্কের পরিণতি হয় ডিভোর্স। ২০১৬ সালে বিপাশা বসুর সঙ্গে বিয়ে হয় কর্ণের।
মনীষা কৈরালা- সম্রাট দাহাল: দীর্ঘ দিন সিঙ্গল থাকার পর ২০১০ সালে মনীষা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। সম্রাট দাহালকে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়ে বেশি দিন টিকবে না খুব তাড়াতাড়ি তার আভাস পাওয়া যায় মনীষার ফেসবুক পোস্ট ‘আমার স্বামী আমার শত্রুতে পরিণত হয়েছে’ থেকে। ঠিক দু’বছরের মাথায় ২০১২ সালে তাঁদের ডিভোর্স হয়।
করিশ্মা কপূর-সঞ্জয় কপূর: অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে ব্রেক আপ হওয়ার মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয় করিশ্মার। ১৩ বছর তাঁরা এক সঙ্গে ছিলেন। আর এই ১৩ বছরের সম্পর্ক মোটেই সুখকর ছিল না। অনেক লড়াই-ঝগড়ার পর সইফ আলি খানের মধ্যস্থতায় ২০১৬ তাঁদের ডিভোর্স হয়।
সইফ আলি খান-অমৃতা সিংহ: সইফ আলি খান নিজেও ব্রোকেন ম্যারেজের যন্ত্রণার ভুক্তভোগী। ভিন ধর্মে নিজের বয়সের চেয়ে অনেক বড় অমৃতা সিংহে বিয়ে করায় তাঁদের লভ স্টোরি ছিল বলিউডের একেবারে প্রথম সারিতেই। পরিবারের মত না থাকলেও ১৩ বছর তাঁরা এক সঙ্গে ছিলেন। তারপর তাঁরা আলাদা থাকার সিদ্ধান্ত নেন। করিনা কপূরের সঙ্গে বিয়ে হয় সইফের।