লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের সঙ্গে তাঁর পরিচিতি জন্মসূত্রেই। মা অপর্ণা সেন এক হাতে সংসার সামলেছেন। অন্য হাতে শুটিং। কিন্তু অভিনেত্রী হিসেবে প্রথম থেকেই নিজের আলাদা পরিচিতি তৈরি করেছিলেন তিনি। চেনা গন্ডির বাইরে বরাবরই ব্যতিক্রমী তিনি। আজ ৩৮ বছরে পা দিলেন কঙ্কনা। কেমন ছিল তাঁর জার্নি? খোঁজ রইল গ্যালারির পাতায়।
সালটা ১৯৭৯। ওই বছরই আজকের দিনে জন্মেছিলেন কঙ্কনা। অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও তুখোর ছিলেন কঙ্কনা। দিল্লির সেন্ট স্টিফেন্স কলেজ থেকে ইংরাজিতে স্নাতক ডিগ্রি রয়েছে তাঁর। লেখালেখিতেও সমান আগ্রহ কঙ্কনার।
মাত্র চার বছর বয়সে ১৯৮৩ সালে অভিনয়ে হাতেখড়ি। শিশুশিল্পী হিসেবে ডেবিউ ছবি ‘ইন্দিরা’। কিন্তু প্রত্যক্ষ অভিনয়ের জগতে পা রাখা ২০০১ সালে, পরিচালক সুব্রত সেনের হাত ধরে ২১ বছর বয়সে। ছবির নাম ‘এক যে আছে কন্যা।’
সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার আসে ২০০২ সালে। অপর্না সেন পরিচালিত ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ ছবিতে সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জতীয় পুরস্কারের সম্মান পান। ২০০৫ সালে ‘পেজ থ্রি’ ছবিতে একজন সাংবাদিকের চরিত্রে নজর কাড়েন তিনি। নানা মহলে ভূয়সী প্রশংসা কুড়িয়েছিল ছবিটি।
একটার পর একটা মনে রাখার মতো চরিত্রে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলেছেন কঙ্কনা। ‘তিতলি’, ‘পেজ থ্রি’, ‘ফিফটিন পার্ক অ্যাভিনিউ’, ‘ওমকারা’, ‘দোসর’, ‘লাইফ ইন না মেট্রো’, ‘আযা নাচলে’, ‘ফ্যাশন’, ‘ওয়েক আপ সিড’, ‘গয়নার বাক্স’, ‘শেষের কবিতা’— তালিকাটা অনেক দীর্ঘ।
অভিনয়ের পাশাপাশি ছবি পরিচালনাতেও দক্ষতার ছাপ রেখেছেন কঙ্কনা। ২০০৬ সালে ‘নামকরণ’ নামে একটা শর্টফিল্ম পরিচালনা করেছিলেন তিনি। মায়ের মতোই নাকি ফিল্মের সেটে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের ওয়ার্কশপ করানোর গুরুদায়িত্ব পালন করেন কঙ্কনা।
অপর্ণা সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি ‘৩৬ চৌরঙ্গি লেন’। কঙ্কনার ‘আ ডেথ ইন দ্য গঞ্জ।’ দু’টি ছবির ভাষাই ইংরাজি। এই ছবির জন্য নিউ ইয়র্ক ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে সেরা পরিচালকের পুরস্কার জিতেছেন কঙ্কনা।
অভিনেত্রী হিসেবে ‘লিপস্টিক আন্ডার মাই বোরখা’ ছবির জন্য সেরার সম্মান পেয়েছেন কঙ্কনা। সেন্সর বোর্ডের চোখরাঙানি এবং নানা বিতর্ক সত্ত্বেও এই ছবিতে সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নেন তিনি।
‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস আইয়ার’ ছাড়াও ‘ওমকারা’ ছবির জন্যও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন কঙ্কনা। তাছাড়া পেয়েছেন আরও দু’টি ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড।