স্পষ্ট কথায় জবাব দিলেন জিত্।
‘বাঘ বন্দি খেলা’ রিলিজ করছে ১৬ নভেম্বর। অর্থাত্ ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের মধ্যে। সমস্যা হবে না?
জিত্: ছবিটা ভাল হলে, তাকে কোনও কিছুই থামাতে পারবে না। কোনও ঝড়, বৃষ্টি, সুনামি থামাতে পারবে না। আর এ ছবিটা তো বড় করেই রিলিজ হচ্ছে।
এই ছবির ইউনিকনেস কী?
জিত্: তিনটে আলাদা স্টোরি। বিশাল স্টার কাস্ট। তিনজন ডিরেক্টর বোর্ডে। বড় ইউনিট। অডিয়েন্সকে অনেক কিছু দেবে এই ছবিটা। এটুকু বলতে পারি।
এই প্রথম কোনও ছবিতে আপনি এবং প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় একসঙ্গে রয়েছেন, তাও গল্প আলাদা...
জিত্: হ্যাঁ, বুম্বাদার সঙ্গে পোস্টার শেয়ার করছি, ভাল লাগছে। যদিও গল্প আলাদা। তবে শুধু বুম্বাদা নয়। সোহমের সঙ্গেও আমি আগে কাজ করিনি।
আরও পড়ুন, ‘বাঘ বন্দি খেলা’র লড়াই, জিতবে কে?
একই ছবিতে তিনজন নায়ক। প্রতিযোগিতা কি বেশি?
জিত্: কম্পিটিশন? কার সঙ্গে কম্পিটিশন? বুম্বাদা সব সময় নম্বর ওয়ান, অ্যাজ লং অ্যাজ আই ওয়ার্ক। আমার বাংলা ছবি যদি কোনওদিন ১০০ কোটি টাকার ব্যবসাও করে, তাও বুম্বাদা আমার কাছে সব সময় এক নম্বরে থাকবে। আমার দাদার মতো। আর এখানে সকলে একসঙ্গে কাজ করছি। এটার ইমপ্যাক্ট কী পড়তে পারে, দর্শকদের মধ্যে আমরা কিন্তু কেউ জানি না।
বলিউডে এ ধরনের প্রজেক্ট হচ্ছে। টলিউডে তো অনেক বিভাজন রয়েছে। অনেক প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে অনেকে কাজ করতে পারেন না...
জিত্: (প্রশ্ন থামিয়ে দিয়ে) কারা আছে এরকম (হাসি)? দেখুন, এই ছবিটা একটা আলাদা পারসেপশন দেবে। অনেক কিছুর উত্তর দেবে ছবিটা। রেজাল্ট কী হবে আমরা জানি না। কিন্তু... ছবিটা আলাদা তো বটেই।
ফোটোশুটে জিত্-সায়ন্তিকা।
এই প্রজেক্টে আপনি এবং সায়ন্তিকা প্রথম গল্প ‘বাঘ’-এ কাজ করেছেন। আপনিই তো গল্পের ‘বাঘ’?
জিত্: ইয়েস। বাঘ আবার বাঘিনী (সায়ন্তিকা) কে ভয়ও পায়।
বাঘ, বাঘিনীকে ভয় পায়, জিত্ কি রিয়েল লাইফে নিজের স্ত্রী মোহনাকে ভয় পায়?
জিত্: আমি অনেকক্ষণ ধরে কথা বলছি। এ বার সায়ন্তিকা কিছু বলুক।
সায়ন্তিকা: জিত্দা মোহনাকে ভয় পায় কিনা, আমি বলতে পারব না, হা হা হা...। এটা তোমাকেই বলতে হবে।
জিত্: আমি মোহনাকে ভালবাসি, কেন ভয় পাব? আমি যাকে ভালবাসি, তাকে ভয় পাব কেন?
সায়ন্তিকা বলুন, অনস্ক্রিন বাঘকে সামলানো কতটা কঠিন ছিল?
সায়ন্তিকা: খুব একটা কঠিন ছিল না। গল্পে ওদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওরা সুখে সংসার করে। ফলে বাঘিনীর বাঘের ওপর বেশ ভালই কন্ট্রোল আছে। আমার চরিত্রের নাম দেবশ্রী। ওর খুব একটা প্রবলেম হয়নি বারিন (জিত্ অভিনীত চরিত্র)কে কন্ট্রোল করতে।
আরও পড়ুন, কৌশানীর আগে বনির কত জন গার্লফ্রেন্ড ছিলেন?
আচ্ছা, লাস্ট বেশ কয়েকটা মাল্টিস্টারার প্রজেক্টে আপনি কাজ করলেন। যে ছবিতে আপনি একাই হিরোইন, এমন অফার কি পাচ্ছেন না?
সায়ন্তিকা: দেখুন, আমাদের ট্রেন্ড মেনে চলতে হবে। আমি তো অ্যাকশন ফিল্ম করতে চাই। কিন্তু এখানে অ্যাকশন ফিল্ম হচ্ছে না বলে কি আমি অন্য ছবি করব না? এখন ট্রেন্ডটাই এটা। মাল্টিস্টার নিয়ে ছবি হচ্ছে। বলিউডেও লক্ষ্য করলে দেখবেন মাল্টিস্টারার ছবি। আমার কাছে ইমপর্ট্যান্ট হল, আমার চরিত্রটা গল্পে কী করছে। তার কি কোনও ইমপর্ট্যান্ট ইনপুট আছে? দ্যাটস ইট। অনেক সিঙ্গল হিরোইনের অফার এসেছে, আমি করিনি। কারণ আমার মনে হয়েছে, সেখানে আমার কিছু করার ছিল না।
জিত্: এই গল্পে শি ইজ আ সোলো হিরোইন...
সায়ন্তিকা: ইয়েস। দেবশ্রীর অনেক লেয়ার আছে। আমি খুব এনজয় করেছি। আর জিত্দার মতো কো-স্টার থাকলে কোনও কথাই নেই। আমার কাছে নাম্বার অফ ফিল্ম ইমপর্ট্যান্ট নয়। চরিত্র ইমপর্ট্যান্ট।
ছবির শুটিংয়ে জিত্।
আপনারা জুটি হিসেবে অনেকগুলো কাজ করলেন। নিজেদের পজিটিভ দিক নিয়ে তো নিশ্চয়ই আলোচনা হয়। একে অপরের নেগেটিভ কোনও দিক বলতে পারবেন?
সায়ন্তিকা: আমি ক্রিটিসাইজ করি না। কাউকে নেগেটিভ বলি না।
কিন্তু সেই আলোচনা করলে তো নিজেদের কাজই আরও ভাল হয়...
সায়ন্তিকা: আমি অন্য লোককে কেন বেটার হওয়ার চান্সটা দেব... (হাসি)? তবে জিত্দার একটা ব্যাপার বলব, ও মেন্টালি খুব স্ট্রং, পজিটিভ। কোনও কাজ করব মানে করবই। এটা আমাকে খুব ডিসটার্ব করে। আমিও ওর মতো হতে চাই। আমার মনে হয়, জিত্দা পারছে, আমি কেন পারব না?
জিত্: ও মাই গড! থ্যাঙ্ক ইউ।
আরও পড়ুন, ‘সেক্স সিন বিদেশে হলে অসাধারণ, আর আমরা করলে খারাপ!’
আর জিত্, এ বার সায়ন্তিকার নেগেটিভ পয়েন্ট আপনি বলুন...
জিত্: একটা নয়। ওর অনেকগুলো নেগেটিভ ব্যাপার বলার আছে। কিন্তু আমি এ ভাবে বলব না। কারও মাধ্যমে নয়। আমি ডিরেক্টলি বলব।
সায়ন্তিকা: হি ডাজ দ্যাট।
#মিটু নিয়ে এই মুহূর্তে আলোড়ন চলছে। আপনারা ইন্ডাস্ট্রির এতদিনের সদস্য হয়ে কী বলবেন?
জিত্: এনি জেন্ডার ইন এনি প্রফেশন, এনি শর্ট অফ হ্যারাসমেন্ট... নো। নো মিনস নো।
সায়ন্তিকা: আমি এ ব্যাপারটা এখনও পর্যন্ত ফেস করিনি। ভগবানের আশীর্বাদে এই খারাপ এক্সপিরিয়েন্সটা যেন না হয়। আমি চাইব, কোনও জেন্ডারকেই যেন ফেস করতে না হয়।
(সেলেব্রিটি ইন্টারভিউ, সেলেব্রিটিদের লাভস্টোরি, তারকাদের বিয়ে, তারকাদের জন্মদিন থেকে স্টার কিডসদের খবর - সমস্ত সেলেব্রিটি গসিপ পড়তে চোখ রাখুন আমাদের বিনোদন বিভাগে।)