Entertainment News

রীতার প্রয়াণে কথা বলতে পারছে না, কেঁদেই চলেছে ‘রাখি’

‘রাখি বন্ধন’-এ এই দুই ভাই-বোনের দজ্জাল জেঠিমার ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন রীতা কয়রাল। কিন্তু শুটিংয়ের ফাঁকে ‘রাখি’ ও ‘বন্ধন’-এর কাছে তিনি ছিলেন আদরের জেঠিমা।

Advertisement

স্বরলিপি ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৯ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:১৮
Share:

রীতা কয়রাল। ইনসেটে ‘রাখি’।

খবরটা পেয়েছেন রবিবার সকালেই। জনপ্রিয় অভিনেত্রী রীতা কয়রালের প্রয়াণ। আচমকাই বন্ধু হারানোর খবর। ইন্ডাস্ট্রির এক দক্ষ অভিনেত্রীকে হারানোর খবর। কিন্তু তাতে তাঁর ভেঙে পড়লে চলবে কেন? তিনি তো ক্যাপ্টেন অফ দ্য শিপ। তিনি সীমান্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘রাখি বন্ধন’-এর পরিচালক। রীতা কয়রাল তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু।

Advertisement

রীতার চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া যাচ্ছে না। তবুও খবর পাওয়ার পরই ‘রাখি বন্ধন’-এর সঙ্গে যুক্ত সকলকেই দাসানি স্টুডিওতে ডেকেছিলেন। সেখান থেকেই সকলকে নিয়ে গিয়েছেন নেতাজী নগর কলেজের কাছে রীতার বাড়িতে। সব কর্তব্য করছেন এক এক করে। কিন্তু রীতার কথা বলতে গিয়ে বারবার ফিরে আসছে ‘রাখি’র কথা। বছর পাঁচেকের খুদে অভিনেত্রী কৃতিকা চক্রবর্তী অর্থাত্ পর্দার ‘রাখি’ এই সিরিয়ালের মধ্যমণি। রীতার চলে যাওয়ার খবর পাওয়ার পরই একদম চুপ করে গিয়েছে ‘রাখি’। কারও সঙ্গে কোনও কথা বলছে না। চোখ দিয়ে সমানে জল পড়ছে।

আরও পড়ুন, ‘রীতা আন্টি আর বন্ধন বলে ডাকবে না’

Advertisement

রীতার বাড়ির সামনে থেকেই সীমান্ত বললেন, ‘‘আমি জানি না রাখি এর আগে কোনও মৃত্যু দেখেছে কিনা। তবে রীতা চলে যাওয়াতে ও একদম চুপ করে গিয়েছে। আমাকে ডিরেক্টর আঙ্কেল বলে। কখনও বলে আমি ওর বর। মানে, আমার সঙ্গে এতটাই কমর্ফটেবল ও। কিন্তু আজ ও আসার পর কাঁধে হাত রাখলাম। সরিয়ে দিল। শুধু বাবা বা মায়ের কোলে থাকছে। একটা কথাও বলেনি। আর চোখ দিয়ে সমানে জল পড়ছে।’’

আরও পড়ুন, ‘রীতার মতো তাড়াতাড়ি সংলাপ মুখস্থ করতে পারে কম অভিনেতাই’

‘রাখি বন্ধন’-এ এই দুই ভাই-বোনের দজ্জাল জেঠিমার ভূমিকায় অভিনয় করছিলেন রীতা কয়রাল। কিন্তু শুটিংয়ের ফাঁকে ‘রাখি’ ও ‘বন্ধন’-এর কাছে তিনি ছিলেন আদরের জেঠিমা। সীমান্ত শেয়ার করলেন, ‘‘রীতা ওকে রাখি বলেই ডাকত। কোলে নিয়ে ঘোরা বা খাওয়ানো, খুবই যত্ন করত ওর। আজ সে জন্যই বোধহয় রাখি কোনও কথাই বলতে পারছে না।’’

আরও পড়ুন, ‘শেষবেলায় চোখের দেখাটাও দেখতে পেলাম না’

আগামী সোমবারই শুটিং রয়েছে ‘রাখি বন্ধন’-এর। রীতাকে ছাড়াই শুটিং করতে হবে। এই সত্যিটা জানেন সীমান্ত। ‘‘কাল শুটিং শুরুর আগে হয়তো স্মরণসভা হবে। আসলে কী হবে, এখন আমি কিছুই ভাবতে পারছি না। রীতাকে আমি লেডি বিবেকানন্দ বলতাম। কারণ ২০ পাতার স্ক্রিপ্টও যদি একবার দেখত, হুবহু বলে দিতে পারত। ওর মতো অভিনেত্রী থাকলে ডিরেক্টরদের চিন্তা কমে যেত।’’

‘রাখি’ কথা বলতে পারছে না, শুধুই কাঁদছে। আর সীমান্ত কথা বললেও তাঁর গলায় কান্নারই সুর। রীতার চলে যাওয়াটা টলিউডের বহু কলাকুশলীর মতো মেনে নিতে পারছেন না তিনিও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন