জ়ুবিনের মৃত্যুর সঙ্গে এই ১১ জনের কী সম্পর্ক? ছবি: সংগৃহীত।
জ়ুবিন গার্গের মৃত্যুতে গ্রেফতার হয়েছেন গায়কের তুতো ভাই। এর আগে গ্রেফতার হন আরও চার জন। কিন্তু তদন্তে এখনও সদুত্তর মিলছে না ১১ জন প্রবাসী ভারতীয়ের। এই মুহূর্তে তাঁরাই তদন্তকারী দলের মূল নিশানায়। তবে এঁদের মধ্যে একজনের বয়ান রেকর্ড করা গিয়েছে। বাকিরা কারা?
সিঙ্গাপুরে জ়ুবিনের মৃত্যুর সময়ে ঘটনাস্থলে ছিলেন এই ১১ জন। প্রমোদতরীর পার্টিতে ছিলেন তাঁরা। তাই এঁদের বয়ান এই তদন্তে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথমে ৮ জন প্রবাসীকে সমন পাঠানো হয়েছিল সিঙ্গাপুরের ভারতীয় হাই কমিশনের মাধ্যমে। পরে আরও ৩ জনকে সমন পাঠানো হয়। ৬ অক্টোবরের মধ্যে এই ১১ জন প্রবাসীকে তদন্তে শামিল হওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কারও তরফ থেকে কোনও সদুত্তর পায়নি সিআইডি। তবে সিঙ্গাপুরের ভারতীয় হাই কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাঁদের। শুধু রূপ কমল কলিতা নামে এক প্রবাসী সদ্য সিঙ্গাপুর থেকে ফিরেছেন। মঙ্গলবার তাঁকে দীর্ঘ ছয় ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। রেকর্ড করা হয়েছে তাঁর বয়ান।
রূপ কমলের পরে বাকিরাও এক এক করে এই তদন্তে শামিল হবেন বলে জানা যাচ্ছে। এই ১১ জন প্রবাসীর মধ্যে রয়েছেন জ়ুবিনের পূর্বপরিচিত তন্ময় ফুকান। তিনিই প্রমোদতরীর পার্টির আয়োজন করেছিলেন বলে জানা যাচ্ছে। এই প্রবাসীদের তালিকায় আরও যাঁরা রয়েছেন তাঁরা হলেন— অভিমন্যু তালুকদার, দেবজ্যোতি হাজরিকা, সিদ্ধার্থ বরা, পরীক্ষিত শর্মা, বাজিদ আহমেদ, ভাস্কর দত্ত, প্রীতম ভূঞা, জি নার্জারী ও সুস্মিতা গোস্বামী। এঁদের মধ্যে বেশির ভাগই সিঙ্গাপুরের নামী সংস্থায় কর্মরত। কারও আবার সেখানে নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। এঁরা প্রায় প্রত্যেকেই পরিবার নিয়ে সিঙ্গাপুরে থাকেন।
সিঙ্গাপুরের ভারতীয় হাই কমিশনের কাছে প্রবাসীরা জানিয়েছেন, সিঙ্গাপুর পুলিশও জ়ুবিনের মৃত্যুর তদন্ত করছে। সেই তদন্তে তাঁরা সহযোগিতা করছেন বলে বর্তমানে তাঁদের সিঙ্গাপুরে থাকা প্রয়োজন।