সাত সমুদ্র তেরো নদীর পারেও বলিউডের ফ্যান সংখ্যা এখন অনেক। শুধু প্রবাসী ভারতীয়রাই নয়, দিনে দিনে বি-টাউনের বিদেশী ফ্যান সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ বলিউডের জাদুকরিতে মুগ্ধ। জেনে নেওয়া যাক বলিউড পাগল এমনই কিছু দেশের নাম।
চিন: বরাবরই আমির খানের ছবি চিনে ব্যবসার নিরিখে বলিউডের মুখ উজ্জ্বল করে। ‘দঙ্গল’ বা ‘সিক্রেট সুপারস্টার’ সেটা আরও একবার প্রমাণ করে দিয়েছে। প্রায় ২০০০ কোটি টাকার কাছাকাছি ব্যবসা করে ‘দঙ্গল’। তবে তালিকায় খুব একটা দূরে নেই ‘বাহুবলী’। বেশ বড় অঙ্কেরই ব্যবসা করে এই ছবিটিও।
পাকিস্তান: দুই দেশের সম্পর্কে তিক্ততা থাকতেই পারে। কিন্তু তাতে বলিউডের প্রতি পাকিস্তানের ভালবাসা এক ফোঁটাও কমেনি, বরং বেড়েই চলেছে। পাকিস্তানের যুবক-যুবতীরা শাহরুখ খান আর সলমন খানের সিনেমার বিরাট ভক্ত। শাহরুখ, সলমনদের জনপ্রিয়তা পাকিস্তানে এতটাই যা সহজে সে দেশের অভিনেতাদের যখন তখন টেক্কা দিতে পারে।
পোল্যান্ড: এ দেশের লোকজন আবার বলিউডের গানেই নাচতে বেশি পছন্দ করেন। সলমন খান তাঁদের খুব পছন্দের। তবে এখন আর শুধু সলমন নয়, সে তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও অনেক নাম।
মিশর: এখানে তো আবার বলিউডের ফ্যান সংখ্যা এত বেশি যে, মিশরীয় ছবির ব্যবসার স্বার্থে সরকারকে বাধ্য হয়ে বলিউডের ছবি একসময়ে নিষিদ্ধ করতে হয়েছিল। পরে সেই ব্যান উঠিয়েও নেওয়া হয়। শাহরুখ খানের ছবির ভক্ত এ দেশের প্রচুর মানুষ।
আফগানিস্তান: সলমন জ্বরে কাবু গোটা আফগানিস্তান। তাঁর যে ছবিই রিলিজ করুক না কেন, প্রায় প্রত্যেকটা হল হাউজফুল থাকে।
তাইওয়ান: তাইওয়ানেও সেই আমির খান কানেকশন। ‘থ্রি ইডিয়টস’, ‘পিকে’ এই সব ছবি তো ভাল ব্যবসা করেইছিল, সঙ্গে দঙ্গলও বিপুল অঙ্কের ব্যবসা করেছিল। আমিরের প্রায় সব ছবিই তাইওয়ানে সুপারডুপার হিট।
পেরু: দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশে শাহরুখের ফ্যান সংখ্যা অগুনতি। এই দেশে শাহরুখের যে কোনও সিনেমা এক্কেবারে চোখ বুজে হিট। আসলে শাহরুখ নিজেও এখানে এসে অনেকবার ছবির প্রচারে এসেছেন।
জার্মানি: বলিউডের প্রতি বরাবরই আলাদা একটা টান আছে জার্মানির মানুষজনের। এই টান আরও বেড়ে যায় শাহরুখ খানের ‘কভি খুশি কভি গম’ ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পরে।
নাইজিরিয়া: আজ নয়, বহু বছর ধরে নাইজিরিয়ার লোকজনের মনপসন্দ সিনেমার জগৎ বলিউড। আজও তাঁরা নতুন বলিউড ছবির জায়গায় বলিউডের পুরনো ছবিগুলি দেখে। তবে তাঁরা সঞ্জয় দত্তের বিরাট ফ্যান। সঞ্জয়কে নাইজিরিয়ার লোকজন বলেন ‘দান দাবা মাই লাসিন’ যার অর্থ লাইসেন্স সমেত একজন গুন্ডা।