কী নিয়ে চিন্তিত রাজনন্দিনী? ছবি: সংগৃহীত।
গলায় তিন থাকের হার। মাথায় মুকুট। কপালে বড় গোল টিপ। পরনে ভারী বেনারসি। হাতভর্তি চুড়ি। ‘রাজরাজেশ্বরী রাণী ভবানী’ ধারাবাহিকের মাধ্যমে প্রথম বার ছোট পর্দায় দেখা যাবে অভিনেত্রী রাজনন্দিনী পালকে। সোমবার, অর্থাৎ ৭ জুলাই থেকে সম্প্রচার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে আদ্যোপান্ত রানি-রূপে অভিনেত্রীকে দেখে মুগ্ধ দর্শক। কয়েক দিন আগে হাতের নাগালে প্রিয় অভিনেত্রীকে পেয়ে নিজেদের উচ্ছ্বাস ধরে রাখতে পারেননি অনুরাগীরা। এই উচ্ছ্বাস একই ভাবে অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছে রাজনন্দিনীকে। ধারাবাহিকে অভিনয় করতে গেলে প্রতি দিন একটা নিয়ম মেনে চলতে হয়। অন্যান্য কাজের আর সময় থাকে না। এত দিন রাজনন্দিনী বড় পর্দা এবং ওয়েব সিরিজ় মিলিয়ে মিশিয়ে কাজ করেছেন। কিন্তু জীবনকে অন্য ছকে সাজাতে হচ্ছে। সকাল কী ভাবে শুরু হয় তাঁর?
আনন্দবাজার ডট কমকে রাজনন্দিনী বলেন, “ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। ত্বক পরিচর্যা করার জন্য কিছু সময় ব্যয় হয়। তার পর স্নান সেরে পুজো দিই। সোজা চলে যাই জিমে। সেখান থেকে ফিরে একটু বিশ্রাম নিয়েই শুটিং। এ ভাবেই সাজাচ্ছি নিজের দিন।” কখনও কড়া নিয়ম মেনে চলতে ভালবাসেন না রাজনন্দিনী। যতটুকু না করলে নয় আর কী!
অভিনেত্রী বললেন, “আমি সব খাই। নিজেকে কষ্ট দিয়ে কিছু করতে পারব না। বাড়িতে এমনিই তেলমশলা কম দিয়ে রান্না হয়। হ্যাঁ, দুপুরে ভাত খাই না। ওটা ছাড়া আমি সব খাই।” স্টুডিয়ো থেকে তাঁর বাড়ির দূরত্ব খুব বেশি নয়। তাই দুপুরের খাবার বাড়ি থেকেই আসে। অভিনেত্রী বললেন, “প্রোডাকশনের খাবার খেতেও আমার খুব ভাল লাগে। কোনও দিন বাড়ির খাবার না এলে ভাত ছাড়া বাকি যা আছে সব দিয়ে দিতে বলব। তবে বাইরের খাবার একটু কম খাওয়ার চেষ্টা করি এই যা।” আপাতত অভিনেত্রী অবশ্য ধারাবাহিকের টিআরপি কেমন আসবে তা নিয়ে বেশি চিন্তিত।