ড্যানিয়েল ডে-লুইস।
ঘোষণাটা একেবারে আচমকাই হল! তাঁর সহকর্মী থেকে ভক্তকুল কেউই প্রস্তুত ছিলেন না এই আকস্মিকতার জন্য। ড্যানিয়েল ডে-লুইস অভিনয় ছেড়ে দিচ্ছেন। কিন্তু কেন?
এর কোনও কারণ তিনি ব্যাখ্যা করেননি। আর ঘোষণাও করিয়েছেন নিজের মুখপাত্রকে দিয়ে। সেই বিবৃতিতে বলা আছে, ‘ড্যানিয়েল ডে-লুইস আর অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকবেন না। এটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে তিনি আর কোনও মন্তব্য করবেন না’। ওই বিবৃতিতে ড্যানিয়েল দর্শকদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন।
কিন্তু তাঁর এই সিদ্ধান্ত যে কত ভক্তর হৃদয় ভেঙে দিল, সেটা একবারও ভাবলেন না তিনবার অস্কার জয়ী অভিনেতা! হলিউ়ডে অভিনয় করলেও বরাবরই ওই ঝাঁ- চকচকে বৃত্ত থেকে দূরে থাকতেন। নিজস্ব প্রচার, পার্টি সব কিছু থেকেই। ইংল্যান্ডেই বেশির ভাগ সময়টা কাটাতেন। হলিউ়ডের প্রথাগত নিয়মগুলো না মানলেও কোনও দিন তাঁর কাজ পেতে অবশ্য সমস্যা হয়নি। ফিল্মি দুনিয়ার ঠুনকো নিয়মগুলো মানেননি বলেই হয়তো এ ভাবে সরে যেতে পারলেন। খ্যাতির মধ্য গগনে থাকতে থাকতে অভিনয় থেকে
সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার ঘটনাও বিরল।
চার দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন। ১৯৭১ সালে প্রথম ছবি করলেও আশির দশক থেকে তাঁকে পরদায় নিয়মিত দেখা যেতে থাকে। রিচার্ড অ্যাটেনবরোর ‘গঁাধী’তে প্রথম নজরে আসেন। যদিও সেই তরুণ বয়সেই চিত্রনাট্য বাছাই নিয়ে বেজায় খুঁতখুঁতে ছিলেন। বছরে একটা ছবি বড়জোড়। কখনও সেটাও নয়। আগে আর একবার অভিনয় থেতে অব্যাহতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ড্যানিয়েল। কিন্তু মার্টিন স্করসেসির অনুরোধে ‘গ্যাংস অব নিউ ইয়র্ক’ ছবিতে অভিনয় করেন। তার পর তো ‘দেয়ার উইল বি ব্লাড’, ‘লিঙ্কন’-এর মতো ছবি করেছেন। দুটোতেই অস্কারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেয়েছেন। এর আগে ‘মাই লেফ্ট ফুট’ ছবির জন্যও অস্কার পেয়েছেন ড্যানিয়েল।
কেন তিনি অভিনয়জীবন থেকে অবসর নিলেন তা নিয়ে অনেক চর্চা চলছে। বয়স মোটে ৬০। কোনও শারীরিক অসুস্থতার কথাও শোনা যায় না। তা হলে কি এটা তাঁর নিছকই খেয়াল?
এ বছরের শেষে তাঁর আগামী ছবি ‘ফ্যান্টম থ্রেড’ মুক্তি পাওয়ার কথা। ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে ছবির গল্প। এখন সে ছবির প্রচারেও ড্যানিয়েল আসবেন কি না সন্দেহ রয়েছে। অবসর নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়ার সম্ভাবনা