‘বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র’রূপী দেবপ্রতিম দাশগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
অনিলাভ চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রথম ছবি ‘বেলা’র জন্য বেছেছেন দেবপ্রতিম দাশগুপ্তকে। সে কথা অভিনেতাকে জানাতেই তিনি অনুরোধ জানিয়েছিলেন, “ছোট চরিত্র দাও আপত্তি নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র দিয়ো।” নতুন পরিচালক কি তাঁর কথা রেখেছেন? তাঁর ‘বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র’-এর ‘লুক’ আনন্দবাজার ডট কমের হাতে এসেছে। প্রশ্ন রাখতেই অভিনেতার গলায় তৃপ্তির ছোঁয়া। বললেন, “অনিলাভদা আমায় মলাট চরিত্র দেবে, ভাবতেই পারিনি!”
আকাশবাণীর সঞ্চালিকা এবং বাহারি রান্নার পদের স্রষ্টা বেলা দে-কে পর্দায় ধরছেন অনিলাভ। রেডিয়োয় সঞ্চালনার সুবাদে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সান্নিধ্য পেয়েছিলেন তিনি। তা ছাড়া, তিনি বেলার বাবার বন্ধু ছিলেন। ছবিতে তাই কালজয়ী ব্যক্তিত্বের উপস্থিতি। স্থিরচিত্র বলছে, অদ্ভুত ভাবে আকাশবাণীর সঞ্চালক এবং ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’র স্রষ্টার সঙ্গে অভিনেতার চেহারা মানিয়ে গিয়েছে! প্রায় একই রকম চওড়া কপাল। পাঞ্জাবির সঙ্গে কাঁধে শাল।
“এর জন্য কিছু পদক্ষেপ আমিও করেছি। বীরেন্দ্রকৃষ্ণের ছবি খুঁটিয়ে দেখে বুঝেছিলাম, ওঁর কপালের দিক বেশি চওড়া। সেই সাদৃশ্য আনতে কপালের দু’পাশ কামিয়ে নিয়েছিলাম”, বক্তব্য দেবপ্রতিমের। এখনও মহালয়ায় বাঙালির ভোর হয় যাঁর কণ্ঠস্বরে, সেই খ্যাতনামীকে পর্দায় তুলে ধরার আগে তাঁর সম্পর্কে অনেকটাই পড়াশোনা করেছিলেন অভিনেতা। “অনেক ক্ষণ পর্দা জুড়ে থাকব, এমন নয়। কিন্তু যত ক্ষণ থাকব, দর্শক যেন শুধু আমাকেই দেখেন। আমি যেন চরিত্রের সঙ্গে কোনও অন্যায় না করি। তাই ওঁকে নিয়ে পড়াশোনা করেছি।” তিনি জানতে পেরেছেন, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র নস্যি নিতেন। “কাকতালীয় ভাবে আমার কণ্ঠও সানুনাসিক!” তাই বাড়তি চেষ্টা করতে হয়নি তাঁকে।
শুটিং প্রসঙ্গে মজার ঘটনা ভাগ করে নিয়েছেন দেবপ্রতিম। ঋতুপর্ণা তখন সারা দিন শুটিং করতেন। রাতে মাকে দেখতে বেসরকারি হাসপাতালে। এ রকমই একদিন, অভিনেত্রী হিল পরে সেটে এসেছেন। ছোটখাটো চেহারার অভিনেতা সে দিন রসিকতা করে বলেছিলেন, “তোমার পাশে নিজেকে যেন ‘শেক্সপিয়র’ মনে হচ্ছে!” শুনে সঙ্গে সঙ্গে নিজের সাজঘরে গিয়ে জুতো বদলে চটি পরে এসেছিলেন। ঋতুপর্ণা হাসিমুখে প্রশ্ন করেছিলেন, “এ বারে সব ঠিক আছে তো দেবপ্রতিমদা? আর সমস্যা হচ্ছে না?”