এক ফ্রেমে দিব্যজ্যোতি দত্ত, যিশু সেনগুপ্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
দিন দুয়েকের শুটিং সেরে ফেলেছেন তাঁরা। প্রথম সাক্ষাতের দিন ভুলতেই পারছেন না দিব্যজ্যোতি দত্ত। সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে তিনি ‘শ্রীচৈতন্য’। এই ছবিতে যিশু সেনগুপ্ত চৈতন্যদেবের ঘনিষ্ঠ সহচর ‘নিত্যানন্দ’। “প্রথম দিন শ্রীচৈতন্যের রূপটান নিয়ে যিশুদার মুখোমুখি। আমায় খুঁটিয়ে দেখে এক গাল হাসি। জড়িয়ে ধরে আদরে আদরে ভরিয়ে দিলেন।” তার পর মাথায় হাত রেখে দিব্যজ্যোতিকে বললেন, “তুই পারবি।” আনন্দে দিব্যজ্যোতি মেঘমুলুকে ভাসছেন, আনন্দবাজার ডট কমকে এ কথা জানিয়েছেন নিজের মুখে।
ছোট পর্দা দিয়ে যিশুর অভিনয় জীবন শুরু। ধারাবাহিক ‘মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্য’য় তিনি নামভূমিকায় অভিনয় করেন। ঐতিহাসিক চরিত্রে তাঁর অভিনয় দেখে দর্শক এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে সেই প্রশংসা আজও মুখে মুখে ফেরে। বড় পর্দায় দিব্যজ্যোতি একই ভূমিকায় অভিনয় করছেন। কতটা স্মৃতিকাতর যিশু? প্রশ্ন ছিল এই প্রজন্মের অভিনেতার কাছে। দিব্যজ্যোতির কথায়, “অবশ্যই নস্ট্যালজিক তিনি। সেই সময়ের কত গল্প শোনালেন। কথায় কথায় বললেন, তখন যিশুদা খুব ছোট। ভীষণ রোগাও। নিখুঁত ভাবে চরিত্র হয়ে উঠতে প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছিলেন।” যিশুর স্মৃতিতেও টাটকা তাঁর ‘শ্রীচৈতন্য’ হয়ে ওঠার সময়কাল। দর্শকেরা কী ভাবে তাঁকে ভালবাসত, গল্প করেছেন দিব্যজ্যোতির কাছে। আর বারে বারে সাহস জুগিয়েছেন, দিব্যজ্যোতিও পারবেন। ওঁর মধ্যে যিশু সেই নিষ্ঠা, ধৈর্য, পরিশ্রমী মনোভাব দেখতে পাচ্ছেন।
“জানেন, চৈতন্যদেব হব বলে ২৫ কেজি ওজন কমিয়েছি। এখন আরও রোগা দেখাচ্ছে। মাথা ন্যাড়া করেছি। কোনও ত্রুটি যাতে না থাকে তার জন্য যা করতে হয় করব। সৃজিতদার ছবি দিয়ে বড় পর্দায় পা রাখছি। পরিচালকের সম্মান রাখতে হবে তো! আমার জীবনেও এটা মস্ত সুযোগ। আমি এই সুযোগ পুরোপুরি কাজে লাগাতে চাই”, যিশুর প্রসঙ্গে বলতে বলতে নিজের চরিত্র হয়ে ওঠার গল্পও ভাগ করে নিলেন অভিনেতা।
যিশু পোড়খাওয়া অভিনেতা। এখনও বাঙালি তাঁকেই পর্দার ‘শ্রীচৈতন্য’ বলে মানেন। চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে তিনি কি কিছু পরামর্শ দিলেন দিব্যজ্যোতিকে?
অভিনেতার দাবি, যিশু একেবারেই সে রকম নন। আশ্বাস আর ভরসা দেওয়া ছাড়া তাঁর অভিনয় নিয়ে কোনও কথা বলেননি। পরামর্শও দেননি। বলেছেন, দিব্যজ্যোতি যেন সৃজিতের কথা অনুযায়ী অভিনয় করেন। তা হলেই তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হবে। তাঁর কথায়, “ভীষণ মজার মানুষ। সারা ক্ষণ মুখে হাসি। যিশুদার মতো সহ-অভিনেতার সঙ্গে কাজ করা ভাগ্যের ব্যাপার।”