দীপিকা কক্কর। ছবি: সংগৃহীত।
চলতি বছর এপ্রিলে যকৃতে ক্যানসার ধরা পড়ে দীপিকা কক্করের। তার পর থেকে যন্ত্রণার কথা এক এক করে তুলে ধরেছিলেন দীপিকা। ক্যানসারের চিকিৎসা শুরু হয়েছে তাঁর। অস্ত্রোপচারও হয়েছে। বেশ সুস্থ হয়ে উঠছিলেন। কিন্তু এখন শুরু হয়েছে অন্য যন্ত্রণা। গত ১০ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে দীপিকার ‘টার্গেটেড থেরাপি’। এ বার তার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে।
দীপিকার শরীর ভাল নেই। সারা ক্ষণ গা বমি বমি ভাব, মাথা ঘোরানো আছেই। এর সঙ্গেই শুরু হয়েছে চুল পড়া। অবস্থা এমন যে দীপিকা বলেন, ‘‘সাধারণত ‘টার্গেটেড থেরাপি’তে চুল পড়ে না। কিন্তু আমার সিঁথি ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে। খুব শীঘ্রই আমাকে পরচুলা পরতে হবে। এ ছাড়াও সারা মুখে ঘা হয়েছে।’’ এখানেই শেষ নয়। সম্প্রতি রক্তপরীক্ষা করানো হয়েছে অভিনেত্রীর। সেখানেই জানা গিয়েছে তাঁর শরীরে থাইরয়েডের পরিমাণ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। যার ফলে পেট ভার হয়ে থাকছে তাঁর। কখনও মনখারাপ হচ্ছে, কখনও আবার মন ভাল হচ্ছে। দীপিকার কথায়, ‘‘থাইরয়েড বেড়ে যাওয়ায় গত দু’দিন ধরে মুখের ঘা-ও বাড়ছে।’’ অভিনেত্রী জানান, আরও দেড় বছর ‘টার্গেটেড থেরাপি’ চলবে তাঁর।
অস্ত্রোপচারের পর থেকে জীবনটাই বদলে গিয়েছে তাঁর। আগে তিনি এক জায়গায় বসে থাকতে পারতেন না। অভিনয় হোক বা বাড়ির কাজ, সব সময়ে কাজেই নিমগ্ন থাকতেন তিনি। কিন্তু এখন শরীর সায় দিচ্ছে না দীপিকার।