গুহামানব
পরিচালনা: পারমিতা মুন্সী
অভিনয়: চির়ঞ্জিৎ, কাঞ্চনা, লাবণী, সুজন, পল্লবী
৩/১০
পরিচালক তাঁর প্রথম ছবি হিসেবে শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘গুহামানব’ বেছে নিয়েছেন। উপন্যাসে ফিগার সচেতন বউমা পিঙ্কি একদম পছন্দ করে না তার শ্বশুর প্রাক্তন সেনা কর্নেল বটকৃষ্ণ রায়কে। আইপিএস অফিসার স্বামী সঞ্জয়ের সঙ্গেও তার সম্পর্ক শীতল। কিন্তু সত্যিই কি পিঙ্কি অপছন্দ করে কর্নেলকে, না কি তার অবচেতনে অন্য রকম একটা অনুভূতি আছে কর্নেলের প্রতি? বলা বাহুল্য, ডেবিউ ছবির বিষয় নির্বাচনে পরিচালক যথেষ্টই সাহস দেখিয়েছেন। সোজাসাপটা লাভ স্টোরি নয়, জটিল মনস্তাত্ত্বিক একটি গল্প। এই সাহসিকতার জন্য প্রশংসা প্রাপ্য পরিচালকের। কিন্তু তার পর... উপন্যাসে পিঙ্কির বয়স ১৮, ছবিতে সেই চরিত্রে কাঞ্চনা! ২৭ বছর বয়সি কর্নেলপুত্র সঞ্জয়ের চরিত্রে সুজন মুখোপাধ্যায়! ৫৪ বছরের কর্নেলের ভূমিকায় চির়ঞ্জিৎ। ছবির প্রয়োজনে গল্পের পরিবর্তন করা যেতেই পারে। কিন্তু সেই পরিবর্তনে তো একটা সামঞ্জস্য আশা করেন দর্শক। পিঙ্কি ও সঞ্জয়ের বয়স বদলালে, কর্নেলের বয়সেরও পরিবর্তন করা উচিত ছিল না কি? কর্নেল তার মৃত স্ত্রী সুস্মিতাকে বারবার স্বপ্নে দেখে। স্ত্রী বলেছিল, সে এখন গোধূলিতে আছে। এই গোধূলি জায়গাটা খুঁজে পেতে চায় সে। কর্নেল ও সুস্মিতার মায়াবী স্বপ্নদৃশ্যের জন্য মন্দারমণির সমুদ্র সৈকত নিবার্চন যথাযথ, কিন্তু স্বপ্নদৃশ্য মাটি হয়ে গেল সুস্মিতার চরিত্রে পল্লবীর চড়া মেকআপে। দৃষ্টিকটু সুজনের পরচুল। অবিশ্বাস্য, আইপিএস অফিসারের স্ত্রীর অটোয় চড়ে বিশ্ববিদ্যালয় যাওয়ার দৃশ্য, বিশেষত সে যখন মনে করছে তাকে কেউ মারতে চায়! ছবির সংগীতকার কবীর সুমনও হতাশ করলেন। বলা যায়, ‘গুহামানব’ একা টেনে নিয়ে গিয়েছেন চিরঞ্জিৎই। কিছু অংশে উল্লেখযোগ্য লাবণী সরকার এবং দু’-একজন পার্শ্ব অভিনেতা।