এঁদের যে নামে চেনেন সেটা কিন্তু আসল নাম নয়। যে কারণেই হোক না কেন এঁরা প্রত্যেকেই নিজের নাম বদলে ফেলেছেন। কিন্তু কেন জানেন?
তাঁর আসল নাম নতাশা হাসনন্দানি। টিভি সিরিয়ালে অভিনয় করার আগেই তিনি নিজের নাম বদলে ফেলেন, নতাশা হয়ে যান অনিতা। কারণ তিনি মনে করেন, অনিতা নামটাই তাঁর সঙ্গে স্যুট করে।
টিভি সিরিয়ালের পরিচিত মুখ রেশমী। কিন্তু ঠিক ন’বছর আগে রেশমী পরিচিত ছিলেন দিব্যা নামে। এই নামে বেশ কিছু আঞ্চলিক সিনেমাও করেছেন তিনি। এরপর তাঁর মা পেশাদার নিউমেরোলজিস্ট-এর কাছে নিয়ে যান তাঁকে। ওই নিউমেরোলজিস্টের পরামর্শ মতোই দিব্যা নাম বদলে তাঁর মা নাম রাখেন রেশমী। এই বদলটা তাঁর কাছে বেশ লাকি বলেই মনে করেন রেশমীও।
দাদু নাম রেখেছিলেন করণবীর। এটাই ছিল তাঁর বার্থ সার্টিফিকেটের নামও। আর ঠাকুরদা নাম রাখেন মনোজ। ঠাকুরদার মনে করেছিলেন সুপারস্টার মনোজ কুমারের সঙ্গে তাঁর বেশ মিল রয়েছে। করণবীর নিজেও মনোজ কুমারের মতোই অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন। তাই ফিল্ম জগতে মনোজ হিসাবেই তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন। কিন্তু ‘কসৌটি জিন্দেগি ক্যায়’ সিরিয়ালটির পর তিনি ফের নিজের পরিচয় করণবীর দিতে শুরু করেন।
তাঁর নাম ছিল রাকেশ বপত। নাম বদলে তিনি এখন রাকেশ বশিষ্ট। শুধু পদবীর পরিবর্তনই করেননি রাকেশ। রাকেশ নামের বানানও বদলে ফেলেন। প্রথমে তাঁর নামে ইংরাজি অক্ষর ‘কে’ ছিল, নতুন নামে ‘কে’-এর বদলে রয়েছে ‘কিউ’।
জনপ্রিয় অভিনেত্রী নিয়া শর্মার প্রথমে নাম ছিল নেহা। কিন্তু নেহা নামটা খুব কমন, তাই তা বদলে ফেলেন নিয়াতে।
নাম থেকে একটা ‘এ’ অক্ষর বাদ দিয়ে দেন গঔহর খান। হয়ে যান গওহর খান। এই বদল নাকি তাঁর জন্য লাকি ছিল।
‘লাগি তুঝসে লগন’-এর নকুশা। প্রকৃত নাম মাহি। নামের বানানে প্রথমে একটি ‘এইচ’ ছিল। পরে তিনি আরও একটি ‘এইচ’ যোগ করে দেন। কারণটা অবশ্যই নিউমেরোলজিতে বিশ্বাস।