মহুয়ার বিয়ে প্রসঙ্গে কী বললেন দোলন? — নিজস্ব চিত্র।
বঙ্গ রাজনীতিতে কি বিয়ের হিড়িক পড়ল? ষাটের কোঠায় বিয়ে করেছেন দিলীপ ঘোষ। একেবারে সাদামাঠা ভাবে ধর্মীয় আচার মেনে বিয়ে হয়েছে রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন সভাপতির। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিয়ের ছবি প্রকাশ্যে এল তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের। একান্নয় জীবনের দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু করলেন তিনি। স্বামী পিনাকী মিশ্রের সঙ্গে বয়সের ফারাক প্রায় ১৪ বছরের। দেশে নয়, একেবারে ‘ডেস্টিনেশন ওয়েডিং’ সেরেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। টলিউডে অবশ্য এমন অসমবয়সি বিয়ের ক্ষেত্রে সর্বাধিক চর্চিত দোলন রায় ও দীপঙ্কর দে। দীর্ঘ কয়েক বছর একত্রবাসের পর ২০২০ সালে বিয়ে করেন তাঁরা। সেই সময় দোলনের বয়স ছিল ৪৯ ও দীপঙ্কর তখন ৭৫। প্রায় ছাব্বিশ বছরের ফারাক। সেই সময় তাঁদের বিয়ে নিয়ে বিস্তর চর্চা হয়। এর পর সদ্য দিলীপ থেকে মহুয়া— যখনই কেউ জীবনসঙ্গী পেয়েছেন তাতেই প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়েছে । তাতেই খানিক বিরক্ত। দোলনের স্পষ্ট কথা, ‘‘এমন কোনও যুগান্তকারী কাজ তো করিনি আমি! সবাই আমাকে কেন প্রশ্ন করে?’’
বেশি বয়সে বিয়ে নিয়ে খুব বেশি মাতামাতি করতে নারাজ দোলন। তাঁর কথায়, ‘‘বেশি বয়সে বিয়ে করা—এই বিষয়কে এত প্রাধান্য দেওয়ার তো দরকার নেই। এক-আধটা ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটতেই পারে। কিন্তু, তা বলে পৃথিবীতে সবাই এটাই করবে সেটা চাই না। বেশি বয়সে বিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে সমালোচনার যেমন দরকার নেই, মাথায় তুলে নাচারও দরকার নেই। প্রতিটা মানুষের আলাদা জগৎ আছে। তাঁর জীবনে কী ঘটেছে, বাইরে থেকে তো জানতে পারছে না কেউ। তাই সেটা নিয়ে যেমন বাহুল্যের প্রয়োজন নেই, তেমনই এটাকেই নিয়ম করে দেওয়ারও দরকার নেই।’’ দোলন বিশ্বাস করেন, বিয়ে দুটো মানুষের মধ্যে নয়, সেটা হয় দুটো পরিবারের মধ্যে। সঙ্গীহীন জীবন কাটাতে নারাজ অভিনেত্রী। তাই খানিক মহুয়ার পক্ষ নিয়ে তিনি বলেন, ‘‘কেন সঙ্গী ছাড়া জীবন কাটাবেন? কী এমন বয়স হয়েছে? ৫১ বছর সবে তো বয়স! এই বয়সে দ্বিতীয়-তৃতীয় বিয়ে করে মানুষ সুখে আছেন। তবে সবাই মিলে পঞ্চাশে বিয়ে করবে, সেটা চাই না।’’
যদিও বিয়ের ক্ষেত্রে দুটো মানুষের মধ্যেকার বন্ধুত্বকেই প্রাধান্য দিতে চান অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে শরীরী আকর্ষণ গৌণ। ওটা পরে আসে। বন্ধুত্বই তো সম্পর্কের ভিত।’’ যদিও সাংসদের বিয়ের খবরে, তাঁর নতুন জীবনের শুরুতে শুভেচ্ছা জানালেন দোলন।