‘ক্যামেরা অফ হলেই আমি সাধারণ মেয়ে’

সোনাক্ষী সিংহ এখন ছবির প্রচারে ব্যস্ত। তার ফাঁকেই মুখোমুখি হলেন আনন্দ প্লাসের।মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করার অনুভূতিই আলাদা। ওঁর ভঙ্গিমা, নাচের স্টাইল, অভিনয়শৈলী সব কিছুতেই বৈচিত্র রয়েছে। ‘কলঙ্ক’-এর পরে ‘দবং থ্রি’র শুটিং শুরু হবে। অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম ছবিটার জন্য। প্রভু স্যর (প্রভু দেবা) পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

Advertisement

শ্রাবন্তী চক্রবর্তী

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ অগস্ট ২০১৮ ০০:০০
Share:

সোনাক্ষী সিংহ।

প্র: অভিনেত্রীদের তো অনেক সাজগোজ করে থাকতে হয়। আর আপনি নাকি সাজতে একদম ভালবাসেন না?

Advertisement

উ: একদম ঠিক! কানে দুল পরতেও আমার আলস্য লাগে। মা তো খুব চিৎকার করে। আমি স্কুললাইফ থেকেই টমবয়। স্কুল শুরু হওয়ার আগেই স্কুলের মাঠে পৌঁছে যেতাম আর ফুটবল খেলতাম। আর ইউনিফর্মের বারোটা বাজাতাম। বসে বসে খেলা দেখতে ভাল লাগে না আমার। খেলতে বেশি ভাল লাগে। আমার পছন্দের খেলা বাস্কেটবল আর ফুটবল। যাই হোক, আমি জানতাম অভিনয়ে আসার পরে ভাল দেখতে লাগাটা খুব জরুরি। তাই ব্যালান্স রাখি। ক্যামেরা অফ হয়ে গেলেই সাধারণ মেয়ের মতো থাকি।

প্র: সাজতে ভালবাসেন না, অথচ ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রিতে আসলেন কেন?

Advertisement

উ: কারণ আমি সাজাতে ভালবাসি। একটা সময়ে স্কেচিং করতে ভাল লাগত। আর সেই থেকেই ফ্যাশনে আসার ইচ্ছে হয়। স্কুলে আমি স্টিচিংয়ে ফার্স্ট হতাম। এখনও যদি কেউ একটা সেলাই মেশিন দিয়ে দেয়, আমি একটা গোটা ড্রেস বানিয়ে ফেলব! সময়ের অভাবে এ সব আর করা হয় না।

প্র: দৈনন্দিন জীবনের স্ট্রেস থেকে নিজেকে দূরে রাখেন কী করে?

উ: স্কেচিং অ্যান্ড পেন্টিং। কোনও কিছু গড়তে খুব পছন্দ করি। ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফিরলেও মনে হয় না ঘুমোই। সোজা পেন্টিং রুমে চলে যাই। ল্যান্ডস্কেপ, পোর্ট্রেট, অ্যাবস্ট্রাক্ট... সবই আঁকি। বড় কালেকশন বাড়িতে আছে। সুযোগ করে এগজ়িবিশন নিশ্চয়ই করব।

প্র: দব‌ং টুর কেমন হল?

উ: লাইভ পারফরম্যান্স আমাকে এক্সট্রা কিক দেয়। স্টেজের ভয় কখনও ছিল না। তিন সপ্তাহ টুর করেছি। সঙ্গে ঘোরা, খাওয়া, শপিং, রিহার্সাল— সব! তবে হেকটিক ছিল। সপ্তাহান্তে শো থাকত। তার পরে মধ্যরাতে ফ্লাইট ধরে অন্য শহর আর পরের শোয়ের প্রস্তুতি।

প্র: সলমনের সঙ্গে লাইভ পারফর্ম করতে নার্ভাস লাগে না? উনি নাকি নাচতে নাচতে স্টেপ বদলে দেন...

উ: প্রথম প্রথম পাশ-ফেলের ভয় থাকেই। এখন আমি ওর সঙ্গে স্বচ্ছন্দ। স্টেজে ও বড্ড ইম্প্রোভাইজ় করে। কিন্তু আমিও ওরই মতো, তাই আমাদের তালমিল ভাল। সলমনের সঙ্গে লাইভ করার মজাই আলাদা! আর ও-ই আমার মধ্যে সিনেমার পোকার সন্ধান পেয়েছিল। তখন কেউ ভাবতেই পারেনি, আমি এত মোটা হয়ে কী করে নায়িকা হব! তবে ওকে প্রথম প্রথম ভয় পেতাম, যখন ‘দবং’-এর শুটিং করছিলাম।

প্র: ‘হ্যাপি ফির ভাগ যায়েগি’ কেন করলেন?

উ: ছবির চিত্রনাট্য যখন শুনি, খুব হেসেছিলাম। আমার ছবি বাছার পদ্ধতিটা সহজ। স্ক্রিপ্ট শুনে গল্পের সঙ্গে কানেক্ট করছি কি না দেখে নিই। সেটা এক বার হয়ে গেলে ছবিতে সই করে ফেলি।

প্র: আপনার কাছে ‘হ্যাপি’ থাকার সংজ্ঞা কী?

উ: আমি অল্পেই খুশি। পরিবার আর বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে পারলেই খুশি থাকি। তবে কোনও দিন সমস্যা থেকে পালাই না। সমস্যা মিটিয়ে তবে নিশ্চিন্ত হই।

প্র: এর পর তো আরও ব্যস্ততা... ‘কলঙ্ক’ আর ‘দবং থ্রি’র কাজ!

উ: হ্যাঁ, সামনের বছর ‘কলঙ্ক’ মুক্তি পাবে। এত বড় স্টারকাস্টের সঙ্গে কাজ করতে পারার অভিজ্ঞতা খুব স্পেশ্যাল। মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে কাজ করার অনুভূতিই আলাদা। ওঁর ভঙ্গিমা, নাচের স্টাইল, অভিনয়শৈলী সব কিছুতেই বৈচিত্র রয়েছে। ‘কলঙ্ক’-এর পরে ‘দবং থ্রি’র শুটিং শুরু হবে। অনেক দিন ধরে অপেক্ষা করছিলাম ছবিটার জন্য। প্রভু স্যর (প্রভু দেবা) পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন