দেবাশিস কুমার বললেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে। ছবি: সংগৃহীত।
বিধায়ক বাবা দেবাশিস কুমারকে নিয়ে বরাবর অনর্গল তাঁর একমাত্র কন্যা দেবলীনা কুমার। বাবাকে নিয়ে তাঁর আবেগ, তাঁর উচ্ছ্বাস, অনুভূতি পিতৃদিবস ছাড়াও জায়গা করে নেয় সমাজমাধ্যমে। দেবাশিসের জামাই গৌরব চট্টোপাধ্যায়। পিতৃদিবসের দিনেই আবার গৌরবের জন্মদিন। গৌরব শ্বশুরমশাইকে নিয়ে কথা বলেন, কিন্তু খুবই কম! তাঁর প্রথম কারণ, তিনি একটা সময় খুবই ভয় পেতেন দেবাশিসকে! বিধায়ক শ্বশুরমশাইও পারতপক্ষে জামাইকে নিয়ে মতামত জানান না।
জামাইয়ের জন্মদিনে শাসকদলের বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। দেবাশিস কথাই শুরু করলেন হাসি দিয়ে। বললেন, “ও তো আমার ছেলেই। আমার একটাই মেয়ে। ছেলে ছিল না। গৌরব সেই অভাব পূরণ করে দিয়েছে।” জামাই সম্পর্কে তিনিও যে কতটা ওয়াকিবহাল, স্পষ্ট তাঁর কথায়। সকাল ৮টা বাড়ি থেকে বেরিয়ে ফিরতে ফিরতে রাত ৯টা। তার পরেও জামাই কখনও ফোনে কখনও সশরীর উপস্থিত হয়ে শ্বশুর-শাশুড়ির খোঁজ নেন! “অত পরিশ্রমের পরেও সাধ্যমতো করে। এই বা কম কী?”
ছেলেকে চমকে দিতে ‘বাবা’ নিশ্চয়ই জন্মদিনে এলাহি আয়োজন করেছেন? এ বারেও জবাব দেওয়ার আগে হাসি। দেবাশিস জানিয়েছেন, গৌরব আসবেন তাঁদের বাড়িতে। তাঁরাও খাওয়াবেন জামাইকে। তবে কী খাওয়াবেন বা কী উপহার দেবেন— সে সব তাঁর স্ত্রী দেবযানী কুমার ঠিক করবেন। এ দিকে, জামাই যে শ্বশুরমশাইকে বেজায় ভয় পান! ভয়ের চোটে নাকি বেশি কথাও বলেন না? “বাবাকে তো ছেলে ভয় পাবেই! সেই ভয় সরিয়ে গৌরব এখন আমার ভাল বন্ধু”, এ বার যেন জবাব দিলেন পোড়খাওয়া রাজনীতিবিদ।
নিজেই জানালেন, দেবলীনার একেবারে বিপরীত গৌরব। শান্ত, ধীরস্থির। কথা প্রায় বলেনই না। হাতেগোনা মানুষের সঙ্গে মেশেন। এই গুণ দিয়েই তিনি মন জয় করেছেন শ্বশুরবাড়ির। “আমার মেয়ে সঠিক পাত্র নির্বাচন করেছে। আমি নিশ্চিন্ত”, গর্বের সঙ্গে ঘোষণা বিধায়ক দেবাশিসের।