ওয়ান্ডার উওম্যান
গত বছর অনেক আশা নিয়ে রিলিজ করেছিল দু’টো বিগ বাজেট সুপারহিরো ছবি। ‘ব্যাটম্যান ভার্সাস সুপারম্যান’ আর ‘সুইসাইড স্কোয়াড’। বক্স অফিসে মোটামুটি কাটলেও দর্শকমনে ছাপ ফেলতে পারেনি কোনওটাই। বরং ছাপ ফেলেছিল অন্য দু’টো চরিত্র। গাল গ্যাডট অভিনীত ওয়ান্ডার উওম্যান আর মার্গট রবির হার্লে কুইন। দর্শকের পাল্স বুঝতে দেরি করেনি প্রযোজক সংস্থা। এই দুই চরিত্র নিয়ে সিনেমা মুক্তি পেতে চলেছে। ‘ওয়ান্ডার উওম্যান’ আর ‘গথাম সিটি সাইরেন্স’। তা হলে কি রুপোলি পরদা এ বার সুপারহিরোইনদের দখলে?
ছোট পরদার সাফল্য
ছোট পরদায় অনেক দিন থেকেই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মহিলা সুপারহিরোরা। নেটফ্লিক্সের ‘জেসিকা জোনস’ তো ভীষণ জনপ্রিয়। ‘লুক কেজ’ সিরিজেও মিস্টি নাইট, ক্লেয়ার টেম্পলের দাপাদাপি। মার্ভেলের ‘এজেন্ট কার্টার’ তো ঠিক হয়েছিল শুধু মাত্র একটা সিজনের জন্য। কিন্তু এতটাই জনপ্রিয় হয় যে, সিরিজকে রিনিউ করা হয় দ্বিতীয় সিজনের জন্য। ডিসির টিভি দুনিয়াতেও একই অবস্থা। ‘অ্যারো’তো আছেই, সিবিএসে চলা ‘সুপারগার্ল’ও দারুণ জনপ্রিয় দর্শকদের মধ্যে। এগুলো নিশ্চয়ই ‘ওয়ান্ডার উওম্যান’-এর পথ আরও মসৃণ করেছে।
ফ্যানদের ইচ্ছায় কর্ম
হার্লে কুইন
‘সুপারম্যান ভার্সাস ব্যাটম্যান’ ছবিকে ফ্যানরা নিন্দায় ভরিয়ে দিলেও, ভাল লেগেছিল অ্যামাজনের যোদ্ধা ওয়ান্ডার উওম্যানকে। নানান সোশ্যাল মিডিয়া সাইট ভরে ওঠে তার জয়গানে। ‘সুইসাইড স্কোয়াড’-এর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হার্লে কুইন শুধু মাত্র জোকারের পার্শ্বচর হয়েই থেকে যায়নি। এই চরিত্র দু’টো নিয়ে স্পিন-অফের আবেদন ছিল রিলিজের দিন থেকেই। ফ্যানদের সে ইচ্ছের কথা অজানা ছিল না ডিসির। সেটা নিঃসন্দেহে ছবিকে বড় পরদায় আনতে সাহায্য করেছে।
বক্স অফিসের দোহাই না
মহিলা সুপারহিরোকেন্দ্রিক ছবি আগে যে হয়নি, তেমন নয়। বরং সেগুলো বক্স অফিসে এতটা মুখ থুবড়ে পড়েছিল যে, অনেক প্রযোজক সংস্থাই আর সাহস পায়নি একই পথে হাঁটতে। ২০০৪ সালের ‘ইলেকট্রা’ আর তার পরের বছর ‘ক্যাটওম্যান’ এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ। কিন্তু ছবির ব্যবসার ক্ষেত্র এখন অন্য রকম। সেখানে নেটফ্লিক্সের মতো স্ট্রিমিং সার্ভিস রয়েছে, টিভি রাইটস তো আছেই। তাই ২০১৭তে শুধু বক্স অফিসের দিকে মুখ চেয়ে বসে থাকতে হয় না প্রযোজকদের।
পুনশ্চ: ফ্যানদের জন্যও আরও একটা খুশির খবর। অনেক সময় মার্ভেল বা ডিসি, স্পিন-অফ করার আগে চরিত্রদের ‘এক্সটেনডেড ইউনিভার্স’-এ শামিল করে বাজিয়ে নিতে চায়। সেটা হলে কিন্তু বলা-ই যায়, অদূর ভবিষ্যতে ‘ডেডপুল’ ছবির নেগাসনিক, ‘লোগান’-এর লরা বা ‘থর’-এর হেলাকে নিয়ে আলাদা ছবি এল বলে।