‘স্মোকি আইজ’-এর হট নায়িকা বলা হয় তাঁকে। বলিউডের নায়িকাদের মধ্যে সেরা ফিগার নাকি তাঁরই, এমনটাও বলা হত একটা সময়।
নিউ ইয়র্কে জন্মেছেন এই বলি নায়িকা। তবে তাঁর বাবা-মায়ের কেউই ভারতীয় নন।
বাবা পাকিস্তানের, মা চেক প্রজাতন্ত্রের। এই নায়িকার নাম নার্গিস ফখরি। বাবা-মায়ের মধ্যে বিচ্ছেদ দেখেছিলেন মাত্র ছ’বছর বয়সে। বিচ্ছেদের কিছুদিন পর তাঁর বাবা মারা যান। সেই সময় থেকেই মায়ের সঙ্গে জীবন সংগ্রাম শুরু তাঁর। নার্গিসদের কাছে সেই ভাবে কোনও অর্থও ছিল না তখন।
স্কুলের সময় থেকেই হস্তশিল্প, আঁকায় আগ্রহ ছিল তাঁর। ১৫ বছর বয়স থেকেই তাই ক্রাফ্ট শিক্ষক হিসাবে কাজ করা শুরু করেন তিনি। সামার ক্যাম্পে ছোটদের সেরামিকের কাজও শেখাতেন।
সাইকোলজি নিয়ে স্নাতক স্তরের পড়াশোনাও শুরু করেন নার্গিস। এর পর তৃতীয় বর্ষেই মডেলিংয়ের অফার আসে তাঁর কাছে। সেখান থেকেই বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন তিনি।
আমেরিকার সেরা মডেলের পুরস্কারও পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত কোনও তরুণীর এই তালিকায় থাকা এই প্রথম।
২০১১ সালে বলিউডে ডেবিউ করেন ইমতিয়াজ আলির ছবি ‘রকস্টার’-এর মাধ্যমে, রণবীর কপূরের বিপরীতে।
রেড ভেলভেট থেকে গুলাব জামুন, ক্ষীর— এ সবই নার্গিসের প্রিয় খাবার। কিন্তু শরীরচর্চার কারণেই মেদ জমতে দেন না তিনি।
২০১৩ সালে ‘মাদ্রাজ ক্যাফে’তে তাঁর অভিনয় প্রশংসিত হয়েছিল। অভিনয় করেন ‘ম্যায় তেরা হিরো’ ছবিতে।
২০১৫ সালে হলিউডে ‘স্পাই’ ছবিতে দেখা গিয়েছিল তাঁদের। ২০১৬ সালে ‘আজহার’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
বলিউড অভিনেতা উদয় চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নার্গিস, বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল এমনটাই। তবে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক নাকি ভেঙে যায়, তার পর থেকেই ইন্ডাস্ট্রি থেকে খানিকটা সরে গিয়েছেন নার্গিস।
অ্যাকশন থ্রিলার ‘তোরবাজ’ ছবিতে সঞ্জয় দত্তের সঙ্গে দেখা যেতে পারে তাঁকে। আফগানিস্তানের আত্মঘাতী বোমারুদের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই ছবি।