Entertainment News

‘নগরকীর্তন’-এ তাঁর উপন্যাস নিয়েছেন কৌশিক, বলছেন স্বপ্নময়

ফেসবুক জুড়ে তর্কের ঝড়। ইতিমধ্যেই ‘নগরকীর্তন’ দর্শকের মনে ঘা দিয়েছে জোরে। ইন্ডাস্ট্রি থেকে দর্শকমহল এ ছবি নিয়ে আবেগময়। কিন্তু হঠাৎ স্বপ্নময় চক্রবর্তীর এই বক্তব্য ছবি ঘিরে বিতর্কের ঝড় তুলেছে।

Advertisement

স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ১৫:৪১
Share:

‘নগরকীর্তন’-এর পোস্টারে ঋদ্ধি এবং ঋত্বিক।

ফেসবুকে পোস্ট করেছেন লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।
কৌশিকবাবু এক জন দক্ষ অভিনেতা এবং পরিচালক। নানা গুণে গুণবান, নীরব আহরণ চাতুর্য সমেত।
আবুল বাশারের ‘নরম হৃদয়ের চিহ্ন’ উপন্যাসটি নীরবে নিয়ে ‘শূন্য এ বুকে’ ছবিটি বানিয়েছিলেন, এবার হলদে গোলাপের বেশ কিছুটা আত্মস্থ করে ‘নগরকীর্তন’। দরকার হলে বাশারকে ফোন করে জেনে নিতে পারেন।’
এই প্রেক্ষিতে ফেসবুক জুড়ে তর্কের ঝড়। ইতিমধ্যেই ‘নগরকীর্তন’ দর্শকের মনে ঘা দিয়েছে জোরে। ইন্ডাস্ট্রি থেকে দর্শকমহল এ ছবি নিয়ে আবেগময়। কিন্তু হঠাৎ স্বপ্নময় চক্রবর্তীর এই বক্তব্য ছবি ঘিরে বিতর্কের ঝড় তুলেছে।

Advertisement

দেখুন, বিনোদনের নানা কুইজ

‘‘স্বপ্নময় চক্রবর্তীকে আমি চিনি না। তাই এই মাধ্যমেই ওঁকে অনুরোধ করছি ছবিটা এক বার দেখুন। আর কী বলব বলুন তো? হঠাৎ করে এমন মন্তব্য! আমি ওঁর গল্প নিলে কপিরাইট নিয়ে নিতাম। ঋতুদার ভাবনা নিয়েছি যখন সঙ্গে সঙ্গে জানিয়েছি। সারা জীবন পরিচালক নিজের গল্প নিয়ে কাজ করে গেল। ত্রিভুজ প্রেমে তৃতীয় চরিত্র থাকে, সেটাই কি চুরির বিষয়? আর যে পত্রিকায় ওঁর গল্প ধারাবাহিক ভাবে বেরতো সেই পত্রিকার সম্পাদক আজ ‘নগরকীর্তন’-এর সমালোচনা লিখেছেন। কই, সেখানে তো তেমন কিছুর উল্লেখ নেই? আমার আর কিছু বলার নেই।’’ ফোনের ওপার থেকে বললেন ‘নগরকীর্তন’-এর পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়।
শরীর ও শরীরের সমাজতত্ত্ব নিয়ে এক দুঃসাহসিক উপন্যাস স্বপ্নময় চক্রবর্তীর ‘হলদে গোলাপ’। ২০১২-’১৩ সাল জুড়ে প্রয়াত ঋতুপর্ণ ঘোষ সম্পাদিত পত্রিকায় ধারাবাহিক ভাবে এই গল্প পাঠকসমাজকে নাড়িয়ে দেয়।

Advertisement

আরও পড়ুন, সিনেমা চাইলে মেয়েকে যৌন সুবিধে দিতেই হবে! শুনতে হয়েছিল অভিনেত্রীর মাকে

কাহিনী বয়নে মানুষের লিঙ্গ পরিচয়ের সমস্যা তুলে আনতে গিয়ে অক্লান্ত পরিশ্রমে স্বপ্নময় চক্রবর্তী খুঁজেছেন ইতিহাস, নৃ-বিজ্ঞান, সমাজতত্ত্ব, শারীরবিজ্ঞান, মনস্তত্ত্ব, জিনেটক্স, মিথ পুরাণ। ‘নগরকীর্তন’-এর সঙ্গে কোথায় মিল পেলেন লেখক?
‘‘আমি ছবিটা দেখিনি। আমি অবশ্য লিখে ফেলেছি, উনি আত্মস্থ করেছেন। এক বার দেখে নিই। বাশারের ঘটনাটাও উল্লেখ করেছি। বাশার বলেছে আমায়। এলজিবিটি নিয়ে কাজ করে এনজিও, তারা আমায় জানিয়েছে। তারা গল্পটাও পড়েছে। ছবিও দেখেছে। আরও কয়েক জন বলেছেন। তবে ছবিটা দেখে তবেই পুরো বিষয় নিয়ে বলতে পারব।’’ বললেন লেখক স্বপ্নময় চক্রবর্তী।

সব মিলিয়ে ‘নগর-বিতর্ক’ এখন তুঙ্গে!

(কোন সিনেমা বক্স অফিস মাত করল, কোন ছবি মুখ থুবড়ে পড়ল - বক্স অফিসের সব খবর জানতে পড়ুন আমাদের বিনোদন বিভাগ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন