Govinda

Govinda: মুদিখানায় কেনাকাটার দাম মেটাতে পারেননি, গোবিন্দকে চরম অপমান করেছিলেন দোকানি

তারকা মানেই সুখী জীবনের গল্প। কিন্তু সেই আলোকবৃত্তে পৌঁছনোর আগের দিনগুলো কেমন? তাতেও কি ততটাই সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য? খবর রাখেন না বেশির ভাগই। এক সাক্ষাৎকারে সেই অচেনা দিনগুলোর অজানা গল্পই শুনিয়েছিলেন গোবিন্দ। জানিয়েছিলেন, কতটা অপমান লুকোনো রয়েছে তাঁর অতীতে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০২২ ১১:৫৫
Share:

অতীতে অভাবে দিন কেটেছে গোবিন্দর

তারকা মানেই ঝলমলে আলোকবৃত্তে সুখী সুখী বাঁচা। বলিউড নায়কদের জীবন নিয়ে এমনটাই ভাবতে অভ্যস্ত দর্শক। কিন্তু সেই আলোকবৃত্তে পৌঁছনোর আগের দিনগুলো? তাতেও কি ততটাই সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য? সে খবর রাখেন না বেশির ভাগই। এক সাক্ষাৎকারে সেই অচেনা দিনগুলোর অজানা গল্পই দর্শকদের শুনিয়েছিলেন গোবিন্দ।

তখনও বলিউডের ‘হিরো নম্বর ওয়ান’ বলিউডে সাফল্যের মুখ দেখেননি। বাবা অরুণ অহুজার প্রযোজনায় একটি ছবি বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়ায় ব্যাপক লোকসান হয় তাঁর সংস্থার। অভাব, দৈন্যদশায় ডুবে যায় পরিবার। পরিস্থিতি নাকি এতটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল যে মুদিখানায় কেনাকাটার দাম মেটানোর টাকাও হাতে ছিল না তাঁদের।

Advertisement

সাক্ষাৎকারে গোবিন্দ জানান, ধারে জিনিস নিতেন বলে দোকানি তাঁকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড় করিয়ে রাখতেন। ধার মেটাতে না পারায় চরম অপমানও করা হয় তাঁকে। অভিনেতার কথায়, “অপমানিত হতে হতে এক দিন বাড়িতে বলি, আর ওই দোকানে যাব না। আমার মা সে কথা শুনে কেঁদে ফেলেছিল। চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি আমিও।”

১৯৮৬ সালে ‘লভ ৮৬’ ছবিতে বলিউডে পা রাখেন গোবিন্দ। এর পর একে একে ‘কুলি নম্বর ১’, ‘রাজা বাবু’, ‘আঁখিয়োঁ সে গোলি মারে’, ‘হিরো নম্বর ১’-এর মতো জনপ্রিয় ছবি। পর্দায় তাঁর অভিনয়, নির্মল হাসি, রংচঙে পোশাক, করিশ্মা কপূরের সঙ্গে জুটিতে মজাদার সব ছবি গোবিন্দকে বরাবরের মতোই জায়গা করে দিল দর্শকমনে। আর ফিরে তাকাতে হয়নি। এ সবের মাঝেই ১৯৮৭-তে ছোটবেলার প্রেমিকা সুনীতাকে বিয়ে, দুই সন্তানের জন্ম। অভাব, টানাপড়েনের দিন পেরিয়ে গোবিন্দর এখন সুখী সংসার।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন