‘অ্যাম্বুলেন্স দাদা’ দেব। ছবি: ফেসবুক।
২০২৫ শেষ। দোরগোড়ায় ২০২৬। তাকে স্বাগত জানাতে উদ্যাপনের মেজাজে বিশ্ব। সাধারণ থেকে খ্যাতনামী, সকলেই আনন্দে মেতে। দেব এই আবহেও ব্যস্ত। তাঁর এখন ‘পাখির চোখ’ ৫০তম ছবি। এই ছবি যাতে তাঁর সব ছবির মধ্যে অন্যতম সেরা ছবি হতে পারে, তার জন্য আদা-জল খেয়ে লেগেছেন।
আনন্দবাজার ডট কম প্রথম জানিয়েছিল, দেবের আগামী ছবি ‘অ্যাম্বুলেন্স দাদা’।
‘অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’ বা ‘বাইক অ্যাম্বুল্যান্স দাদা’র আসল নাম করিমুল হক। এলাকার বাসিন্দাদের সেবাকর্মে নিয়োজিত জলপাইগুড়ির করিমুল। নিজের বাইককে তিনি ‘বাইক অ্যাম্বুল্যান্স’-এ রূপান্তরিত করেছেন। প্রত্যন্ত গ্রামের দুঃস্থ, অসুস্থ রোগীকে বিনামূল্যে হাসপাতালে পৌঁছে দেন তিনি।
যিনি ‘বাঘা যতীন’ হয়েছেন, যিনি বড়পর্দার ‘রঘু ডাকাত’, তিনি কেন এই ধরনের চরিত্র বেছে নিলেন?
আনন্দবাজার ডট কম প্রশ্ন করেছিল দেবকে। প্রযোজক-অভিনেতার কথায়, “অনেক বছর আগে থেকেই করিমুল হককে নিয়ে ছবি বানাব ঠিক করেছিলাম। সেই সময়ে মুম্বইয়ের এক প্রযোজক গল্পের স্বত্ব কিনে নেন। ছবিটি হিন্দিতে হবে। ইচ্ছা থাকলেও সরে দাঁড়াই।” প্রসঙ্গত, ২০১৮-য় ছবিটি সূরজ বরজাত্যার সহকারী পরিচালক বিনয় মুদ্গলের পরিচালনা করার কথা ছিল। নওয়াজউদ্দিন সিদ্দিকী, আমির খান হয়ে সোনু সুদ-- তাবড় অভিনেতা এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য মুখিয়ে ছিলেন। সবাইকে ছাপিয়ে চরিত্রটি দেবের কাছে আসে। মাস চারেক আগে বিনয় ফোন করেন দেবকে। প্রযোজক-অভিনেতা উড়ে যান। কিনে নেন স্বত্ব।
দেবের মতে, “৫০তম ছবিটি যাতে আগের ছবির থেকে আরও ভাল হয়, এটাই লক্ষ্য। পাশাপাশি, করিমুল নিজের জীবন সমাজসেবায় দান করেছেন। তাঁর জীবন সমাজের প্রত্যেকের জানা উচিত। এই ভাবনা থেকেই ছবিটি করতে চলেছি।” চিত্রনাট্য লেখার কাজ জোরকদমে চলছে। দেব নিজে গিয়ে দেখা করেছেন করিমুলের সঙ্গে।
কেমন দেখলেন করিমুলকে? “আমরা ওঁর সঙ্গে অনেক ক্ষণ বসে আড্ডা দিয়েছি। কয়েক দিন পরেই আমরা ওঁর বাড়ি যাব। ঘুরে দেখব ওঁর গ্রাম। যেখানে প্রথম কাজ শুরু করেন, যে চা বাগানে প্রথম কাজ শুরু করেছিলেন— সব দেখব। ওঁর জীবন যত সহজ, ততই বিরাট মাপের।” দু’ঘণ্টার মধ্যে অত বড় জীবন দেখানো সম্ভব নয়। তাই চিত্রনাট্যের কাজ নতুন করে ঘষামাজা চলছে।
দেব ইতিমধ্যেই নিজেকে চরিত্রের ছাঁচে ঢালার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নায়িকা হিসাবে ছোটপর্দার অঙ্কিতা মল্লিকের নাম শোনা গিয়েছিল। প্রসঙ্গ তুলতেই অভিনেতার দাবি, তিনি থাকছেন না। নায়িকা বাছাইপর্ব চলছে। শুটিং শুরু হবে আগামী বছর। উত্তরবঙ্গের অনেকটাই দেখানো হবে ছবিতে। সব ঠিক থাকলে অগস্টে মুক্তি পেতে পারে ছবিটি।