কালো না ফর্সা-- কিসে খুশি স্বস্তিকা ঘোষ? ছবি: ফেসবুক।
‘দীপা’ থেকে ‘সুদীপা’ হয়ে চোখ ধাঁধিয়ে গিয়েছে তাঁর! “নিজেকে আয়নায় দেখে অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছিলাম! টানা এত সময় ধরে গায়ের রং কালো ছিল। এখন ধবধবে ফর্সা। মানিয়ে নিতে সময় লেগেছে। এখন একটু একটু করে অভ্যস্ত হচ্ছি”, ধারাবাহিক ‘অনুরাগের ছোঁয়া’য় স্বস্তিকা ঘোষ নতুন চরিত্রে। নায়িকার নাতনি তিনি। নতুন রূপে পর্দায় দেখা দিয়ে আনন্দবাজার ডট কম-এর কাছে প্রথম মুখ খুললেন অভিনেত্রী।
গায়ের রঙের ফারাক তাই তাঁকে যেমন আলাদা করে খুশি করেনি, তেমনি তাঁর দর্শক অনুরাগীদেরও। স্বস্তিকা খেয়াল করেছেন, “দর্শক এখনও ‘দীপা’ আর ‘সুদীপা’র মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছেন না! ওঁরা কেবল ‘দীপা’কেই দেখছেন, খুঁজছেন, চাইছেন। গায়ের রংবদল ওঁদের দেখায় বদল ঘটাতে পারেনি।” তবে কোনও বিরতি ছাড়া একই ধারাবাহিকে নতুন চরিত্রে অভিনয় স্বস্তিকার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। “তিন বছর ধরে ‘দীপা’ হয়ে বেঁচেছি। ‘সুদীপা’কে আমার বাড়ির লোকেরাই মেনে নিতে পারছেন না! ওঁদের মনখারাপ, আমার আগের অভিনীত চরিত্র দেখতে পাচ্ছেন না বলে।”
জীবনের প্রথম অভিনয়, প্রথম ধারাবাহিক। প্রথম দিন থেকে জনপ্রিয় তিনি। নায়িকা ‘দীপা’ ঘোর শ্যামবর্ণা হয়েও! অথচ বাস্তবে স্বস্তিকা শ্যামলা নন, গায়ের রং কিছুটা চাপা। টানা তিন বছর ধরে এক ভাবে অভিনয়ের পর স্বাভাবিক গায়ের রং ফিরে পেয়ে খুশি? প্রশ্ন ছিল তাঁর কাছে? স্বস্তিকার কথায়, “সব থেকে বড় কথা অভ্যাস। তিন বছরের অভ্যাস যেতে সময় লাগে। প্রথম প্রথম আয়নায় নিজের নতুন রূপ দেখে তাই অদ্ভুত লাগত। কিন্তু, চরিত্রের খাতিরে নিজের চেহারায় বদল তো আসবেই।” আগে তাই অনেক সময় ধরে রূপটান নিতে হত অভিনেত্রীকে। ১৪ ঘণ্টা গায়ের রং যাতে একরকম থাকে। এখন আর রূপটানের পিছনে বেশি সময় খরচ করতে হচ্ছে না।
গায়ের রং নিয়ে যদিও তাঁর মাথাব্যথা নেই, এ কথাও জানিয়েছেন স্বস্তিকা। “আমি কোনও কালেই ধবধবে ফর্সা নই। গায়ের রং চাপা। তবে অভিনীত চরিত্র ‘দীপা’র মতোও নয়। গায়ের রং নিয়ে মাথা ঘামালে ‘দীপা’ চরিত্রটাই করতাম না”, দাবি তাঁর। হাসতে হাসতে এ-ও জানিয়েছেন, অনেকেই হয়তো ফর্সা-কালো নিয়ে এখনও ভাবেন। একুশ শতকেও যদি এ সব নিয়ে ভাবতে হয় তা হলে তা প্রচণ্ড লজ্জার— এমনটাই ভাবেন স্বস্তিকা।