আর্য-অপর্ণার নতুন গল্প কেন ভাল লাগছে না দর্শকের? ছবি: সংগৃহীত।
এক মাস আগে প্রকাশ্যে পরস্পরের বিরুদ্ধে নানা ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন অভিনেত্রী দিতিপ্রিয়া রায় এবং জীতু কমল। সব ভুল বোঝাবুঝি মিটিয়ে আবার একসঙ্গে কাজ করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। বাস্তবের মনোমালিন্য যেমন ঘুচেছে, তেমনি পর্দায় মনোমালিন্য যেন বেড়েই চলেছে! আর্য আর অপর্ণার মধ্যে দূরত্ব তৈরির আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে কিঙ্কর ও বাকিরা। কিন্তু দর্শক গল্পের নতুন মোড় মেনে নিতে নারাজ।
দু’দিন আগে দর্শক দেখেছে, বাড়িতে সত্যনারায়ণ পুজোর দিনেই হিন্দোলের সঙ্গে অপর্ণার আশীর্বাদ করাতে মরিয়া তার বাবা। আর্যের সামনে কী করে অন্য কারও সঙ্গে সম্পর্কে জড়াবে? মীরাও তার মতো করে পরিকল্পনা চালিয়ে যাচ্ছে। এরই মধ্যে দর্শক একের পর এক নেতিবাচক মন্তব্যে ভরিয়েছে অভিনেতা অভ্রজিৎ চক্রবর্তীকে। আড়ালে থেকে কিঙ্করও যে কলকাঠি নাড়ছে তা দেখে বিরক্ত দর্শকের একাংশ।
দর্শকের মন্তব্য, “অবিলম্বে কাহিনির মোড় যেন ঘুরিয়ে দেওয়া হয়।” আবার কেউ লিখেছে, “মীরা, কিঙ্করদের ভাল হবে না।” বাধ্য হয়ে অভ্রজিৎ নিজের সমাজমাধ্যমে লেখেন, “আপনাদের গল্প নিয়ে সমস্যা। দয়া করে চ্যানেলের পাতায় গিয়ে লিখুন। অভিনেতাদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করবেন না। গল্প আর বাস্তব আলাদা করুন।” ধারাবাহিকের কাহিনি দেখতে দেখতে অনেকেই যে বাস্তবের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন, এ ঘটনা যেন তারই প্রমাণ।
অপর্ণার বাবার চরিত্রে অভিনয় করছেন শ্যামাশিস পাহাড়ি। তিনি সমাজমাধ্যমের পাতায় লিখেছেন, “সবাই মনে হয় ভুলে যাচ্ছেন এটা মেগা সিরিয়াল। ২ ঘণ্টার সিনেমা নয়। এখানে গল্প অনেক দিন ধরে চলতে থাকে। কোনও একটা গল্পে যদি সব সময়ে ভাল দেখানো হতে থাকে সেটাও একসময় একঘেয়ে হয়ে যায়। তাই সব সময় গল্পে কিছু না কিছু মোড় থাকবেই। খুব সহজে যদি নায়ক-নায়িকার মিল হয়ে যায়, তা হলে তো গল্প ওখানেই শেষ!”
প্রদীপের শিখার তাপে অপর্ণার হাত পোড়ানোর দৃশ্যের ঝলক ইতিমধ্যেই দেখেছে দর্শক। অর্থাৎ এই ঘটনার পরে হিন্দোলের সঙ্গে নায়িকার আশীর্বাদ যে আটকে যাবে সেই আভাস পাওয়া গিয়েছে। এর পর কি আর্য, অপর্ণা পরিবারের সামনে তাদের সম্পর্কের কথা বলতে পারবে? নায়ক-নায়িকার প্রেম, বিয়ে, সংসার দেখার অপেক্ষায় দিন গুনছে দর্শক।