Idhika Paul

এই পুজোতে বুঝতে পারব জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে, কী করতে পারব, আর পারব না: ইধিকা

কখনও ভিড় তেমন পছন্দ ছিল না। এখন অবশ্য উল্টো। এখন ভিড় বেশ ভাল লাগে। লোকে যখন চিনতে পারে, অটোগ্রাফ চায়, আনন্দ হয়।

Advertisement

ইধিকা পাল

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৫ ২০:০০
Share:

পুজোয় ইধিকার কী পরিকল্পনা? ছবি: সংগৃহীত।

পুজোটা আমার কাছে শাসন থেকে মুক্তির মতো। আমার বেড়ে ওঠা দক্ষিণ কলকাতায়। যেখানে প্রতি দু’ পা অন্তর বড় বড় পুজো। কিন্তু সত্যি বলতে, ভিড় আমার ভাল লাগত না। যে কারণে সেভাবে ‘প্যান্ডেল হপিং’ করে ওঠা হয়নি আমার। যদিও এখন অবশ্য উল্টো। ভিড় ভাল লাগে। লোকে যখন চিনতে পারে, অটোগ্রাফ চায়, ভাল লাগে। নাহ্! বড়বেলার কথা থাক। একটু কিশোরীবেলায় ফিরে যাই।

Advertisement

ছোট থেকে বেশ শাসনেই বড় হয়েছি। একদম ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে বেড়াতাম। যে ক’টা মণ্ডপ দেখার, দেখিয়ে দিয়ে সেই বাড়িতেই। তবে একটু বড় হতেই বন্ধুদের সঙ্গে রাতে বেরোনোর ছাড়পত্র পেলাম। আর যেটা পেলাম, সেটা হল হাতখরচ। এমনিতে সারাবছর তো সে সব পেতাম না, বাড়ি থেকে বেরোনোর অনুমতি ছিল না। পুজোর ক’টা দিন তাই দারুণ মজা। সেই সময় হোটেলে খাওয়া থেকে কলকাতা ঘোরা, সব চেটেপুটে উপভোগ করতাম। অনেকে অবশ্য পুজোর সময় প্রেম করত। আমি সুযোগ পাইনি। কারণ, পুজোটা আসার আগেই মা সেই প্রেম ভাঙিয়ে দেয়। এর পরও চেষ্টা করেছিলাম এক দু’বার, ধরা পরে যাই বাড়িতে। তাই আর প্রেম করা হয়নি। কারণ, মা কড়া শাসনে রাখত সবসময়। যদিও এখন ব্যাপারটা উল্টো। কয়েক বছর পর মা নিজেই বলবে, একটা প্রেম তো করতে পারিস!

সত্যি বলতে, এখন পুজোটা পরিবারের সঙ্গে কাটাতেই ভাল লাগে। ছোটপর্দায় যখন অভিনয় করতাম, তখন ষষ্ঠী থেকে পরিক্রমা শুরু হত। তার পর রাতে, বাড়ি ফেরার পথে গাড়ি করে ঘোরা হত। খুব বেশি হলে খাওয়াদাওয়া করেই বাড়ি। এ বছরের পুজোটা অন্য রকম। আসলে ‘খাদান’ বাণিজ্যসফল হওয়ার পর এটা প্রথম পুজো। তাই এ বছরের পুজোতে বাড়তি উৎসাহ রয়েছে। এই পুজোতেই বুঝতে পারব, জনপ্রিয়তা কতটা বেড়েছে, আগামী দিনে কী কী করতে পারব, কোনটা পারব না। আসলে শিল্পীরা ঝড়, বৃষ্টি, শরীর খারাপ উপেক্ষা করে কাজ করি। কিন্তু এই সব কষ্ট মনে হয় না, যখন দর্শক চিনতে পারে। রাস্তায় কেউ ছুটে আসে নিজস্বী তোলার জন্য। আমি তাই কখনও কাউকে ফিরিয়ে দিই না।

Advertisement

তবে পুজোর সময় একটা জিনিস থেকে নিজেকে ছুটি দিই, সেটা হল মেকআপ। সারা বছর এত সাজতে হয়, তাই এই ক’টা দিন সাজি না। তবে খেতে ভালবাসি। কিন্তু আমাদের যা পেশা, তাতে জিভে লাগাম দিতেই হয়। আমি নানা রকমের পদ দিয়ে জমিয়ে খেতে ভালবাসি। একটা দিন বাড়ির সকলকে নিয়ে ভাল কোনও রেস্তরাঁয় গিয়ে খাওয়াদাওয়া করি। তবে একটা কথা না বললেই নয়, পুজোর সময় শাড়ি পরতে ভাল লাগে। ‘কিশোরী’ গানের পর দেখছি, শিফন শাড়ির জনপ্রিয়তা বেড়েছে। সেটা বেশ উপভোগ করছি। ছোটবেলায় আমি শ্রীদেবী, প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকাদের অনুকরণ করতাম, এই পুজোতে আমাকে যদি কেউ অনুকরণ করে, ভাল লাগবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement