Entertainment News

আই লাভ ইউ এখন টেম্পোরারি, বলছেন সোমরাজ

সরাসরি বললেন টেলিভিশনের হিরো সোমরাজ। তাঁর যদিও হওয়ার কথা ছিল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, হয়ে গেলেন ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’র আবীর বা ‘গৌরীদান’-এর বিশু। ‘উনিশ কুড়ি’ পত্রিকার গ্ল্যামার হান্ট-এর মঞ্চ তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল তারাদের জগতে! শ্যুটিং ফ্লোর থেকে কথা বললেন স্রবন্তী বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে।সরাসরি বললেন টেলিভিশনের হিরো সোমরাজ। তাঁর যদিও হওয়ার কথা ছিল ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, হয়ে গেলেন ‘এই ছেলেটা ভেলভেলেটা’র আবীর বা ‘গৌরীদান’-এর বিশু।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৮ ১৬:১১
Share:

এই ইন্ডাস্ট্রিতে তো আমার অভিনয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। সবটা শিখতে হয়েছে, বলছেন অভিনেতা।

ইঞ্জিনিয়ার শেষে মেগা সিরিয়াল করছে?
দেখুন, আমার বাবা-মা আর সকলের মতোই তাঁদের ছেলের বেড়ে ওঠার পিছনে, শিক্ষার পিছনে যথেষ্ট টাকা খরচ করেছেন। ছেলে বড় হলে তারও একটা দায়িত্ব থাকে। ধারাবাহিক এমন একটা জায়গা যেখান থেকে নিয়মিত পরিচিতি এবং অর্থ আসে। আর আমি সবে কাজ শুরু করেছি। আমার তো বছরে পাঁচটা সিনেমা বাঁধা নেই। আমি ধারবাহিক করব তাই। আর তা ছাড়া এই জগতে এসে মনে হয়েছে, এটাকে আরও এক্সপ্লোর করি। কেমন করে প্রোডাকশন হয়? গল্প লেখা হয়? এগুলো জানতে খুব ভাল লাগে আমার।

শোনা যায় আপনি ‘গৌরীদান’-এর ফ্লোর থেকে শ্যুট করতে করতে ‘বোঝে না সে বোঝে না’র ফ্লোরে চলে যান। এটা কেন?
আমি এই সিরিয়াল ইন্ডাস্ট্রিকে না ভীষণ ভালবাসি। আসলে দেখুন, এটা কর্পোরেট অফিসের চাকরি নয়। ৬টা বাজল, বেরিয়ে গেলাম। সকাল ৯টায় ঢুকলাম। আমি এই যে ফ্লোরে ফ্লোরে যাই অনেক কিছু শিখি শেখান থেকে। ‘এই ছেলেটা ভেল ভেলেটা’ করতে করতে আমি ‘কুসুমদোলা’র ফ্লোরে চলে গেছি। ঋষিদার কাছ থেকে কত কী শিখেছি! পরিবার ভাবলে না মনে হয় না সিরিয়াল অনেক সময় নিচ্ছে। লীনাদির (গঙ্গোপাধ্যায়) কাছে গিয়ে গিয়ে কত ইম্প্রোভাইজ করা শিখেছি। এখন যেমন স্নেহাশিসদার প্রোডাকশনে কাজ করছি। রোজ রাতে আমার পরের দিনের কাজ নিয়ে স্নেহাশিসদার সঙ্গে ডিটেলে আলোচনা হয়। এ ভাবেই অভিনয়টাকে ইমপ্রুভ করতে চাই।

Advertisement

আরও পড়ুন, ‘তারকা হলেই এ ভাবে কথা বলা যায় নাকি?’ প্রশ্নের মুখে অনুষ্কা

বিক্রম-সোলাঙ্কি তো এক সময় আপনার খুব বন্ধু ছিল...
সোলাঙ্কি বিয়ের পর ব্যস্ত এখন, তবে ও আর বিক্রমদা আমায় অনেক কিছু শিখিয়েছে। এই ইন্ডাস্ট্রিতে তো আমার অভিনয়ের ব্যাকগ্রাউন্ড ছিল না। সবটা শিখতে হয়েছে।

Advertisement

বিক্রমের খারাপ সময় ওঁর পাশে ছিলেন?
অবশ্যই।

শ্রাবন্তীর সঙ্গে ‘পিয়া রে’-তে কাজ করে কেমন লাগল?
দারুণ! আরও কাজ করতে চাই।

তা হলে আপনিও আর পাঁচটা মানুষের মতো সেই সিরিয়াল থেকে সিনেমায় ঝুঁকছেন...
এতে অন্যায়ের কী আছে! আরে, আমারও তো ইচ্ছে করে দেব আর জিৎ-এর মতো কমার্শিয়াল ছবি করতে। যে কারণে আমি নাচটাও চালিয়ে যাচ্ছি।


দেখুন এই ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ বা ইদানীংকালের ‘আই লাভ ইউ’-র হাল খুব খারাপ!

শ্রাবন্তী ছাড়া কোন নায়িকার সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছে করে?
আমার ইচ্ছেতে কী হবে? আমার বিপরীতে নিশ্চয়ই কোনও নতুন নায়িকাই থাকবে। তবে মিমি চক্রবর্তীর সঙ্গে কাজ করতে চাই। আর তাই বলে এমন নয় যে আমি সিরিয়াল নিয়ে ভাবছি না। কাজ করতে করতেই আমি প্রোডাকশনে আসতে চাই। আমি দেখেছি প্রোডাকশন ঠিক করে শুরু করলে আরও পাঁচশো লোককে কাজ দেওয়া যাবে।

আরও পড়ুন, প্রযোজকের ঘরে চা খাওয়ার হাজিরা দিতে পারব না: প্রতিম

লোকে আপনাকে ধারাবাহিকের চরিত্র দিয়ে নয়, সোমরাজ হিসেবে চেনে? কেন?
এখন সময় পাল্টেছে। ‘ইষ্টিকুটুম’ অবধি রনিতাকে লোকে ‘বাহা’ বলে জানত। এখন মিডিয়ার প্রচারে আমরা নিজেদের নাম নিয়ে বিভিন্ন শো-তে যাই। আর চ্যানেলগুলো প্রচার করে এই ভাবে...যেমন ‘আবীর’-এর ভূমিকায় সোমরাজ...এটাই চলে আসছে।

আপনার পরিকল্পনা বেশ গোছানো...প্রেমের প্রস্তাব সামলান কেমন করে?
দেখুন এই ফেসবুক, হোয়াটস্অ্যাপ বা ইদানীংকালের ‘আই লাভ ইউ’-র হাল খুব খারাপ! ওগুলোর কোনওটাই আর বিশ্বাসযোগ্য নয়। বন্ধু, বান্ধবী এই অবধি ঠিক আছে। ‘আই লাভ ইউ’ এখন টেম্পোরারি!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন