প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।
দূরত্বটা মাত্র একটা ফোন কলের। সেটা কাটাতেই সময় লাগল প্রায় এক বছর। আবার কলকাতায় তিনি। অভিনয় করলেন ‘অস্কার’ ছবিতে। সদ্যই একটি দেশাত্মবোধক হিন্দি ছবির শুটিং আর ডাবিং শেষ করে আরেকটি হিন্দি ছবিতে পুলিশের জীবন নিয়ে গল্পের কাজে হাত দিয়েছেন তিনি— প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায়।
“আমি ভাগ্যবান যে মুম্বই-কলকাতা দু’জায়গায় কাজ করতে পারি। সময়টা বদলেছে। এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনেক ধারার কাজ করা যায়, যা ছবির ক্ষেত্রে আগে ভাবা যায়নি। ওয়েব সিরিজ নিয়ে বেশ কিছু ভাবনা চিন্তা করছি আমি যা দর্শককে নিশ্চই আনন্দ দেবে!”—মুম্বই থেকে বললেন প্রিয়াংশু।
বড় ব্যানার নয় এমন ছবিতে কাজ করলেন যে?
আত্মবিশ্বাসী প্রিয়াংশু বললেন, “চরিত্র আর গল্পই একজন অভিনেতার নির্বাচনের বিষয়। ‘অস্কার’-এ যেমন আমি আশির দশকের এক প্রজাবৎসল জমিদারের চরিত্র করছি। ধুতি পরে সেই পুরনো সময়ে চলে গিয়েছিলাম আমি। আমি বাঙালি তো। ধুতি ব্যাপারটাই আলাদা! এটা তো পিরিয়ড ফিল্ম, ধুতি আর জ্যাকেটটা সেই পরিবেশ তৈরি করেছে। আর পার্থসারথি মান্নার মতো নতুন পরিচালকদের সঙ্গে কাজ করার মজাটাই আলাদা। ‘অস্কার’ ছবিটা দেখলেই সেটা বোঝা যাবে।”
আরও পড়ুন, ফের হাজির ‘ডান্সিং আঙ্কল’, সঙ্গী এ বার হৃতিক! দেখুন ভিডিয়ো
তবে বড় ব্যানার প্রসঙ্গে এটাও বলে দিলেন যে এসভিএফের মতো ব্যানারের সঙ্গে আগেও তিনি কাজ করেছন আর ভবিষ্যতে সেরকম চরিত্র পেলে আবার কাজ করবেন।
জানা গেল ‘অস্কার’-এর সেটে অভিনয় করতে করতে জমিয়ে আড্ডা দিতেন সাহেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে। “সাহেব খুব পরিশ্রমী অভিনেতা। নিজের চরিত্রকে ছবিতে বিশ্বাসযোগ্য করার জন্য ও মন প্রাণ দিয়ে দেয়। এই ছবিতে ও আমার ভাই”—যোগ করলেন প্রিয়াংশু।
সাহেবের সঙ্গে শুটিংয়ের মুহূর্তে প্রিয়াংশু।
কথা প্রসঙ্গে এল অপরাজিতা আঢ্য-র কথা। আর সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেন প্রিয়াংশু, “দুর্গা দেবীর চরিত্রে তাঁর মতো শক্তিশালী অভিনেত্রীকে পেয়ে ‘অস্কার’ টিম সত্যিই খুব লাকি বলে আমার মনে হয়। মেলার মধ্যে, প্রচণ্ড গরমে অস্কারের কাজ করতে হয়েছিল। কিন্তু অপরাজিতা কখনও বিরক্ত হননি। আসলে এগুলোই কাজের ক্ষেত্রে একজন অভিনেতার ডেডিকেশন কে চিনিয়ে দেয়।”
প্রিয়াংশু চট্টোপাধ্যায় মানেই সুপুরুষ, চমৎকার অভিনয়, দারুণ কণ্ঠস্বর। তাহলে প্রসেনজিৎ- জিৎ- দেব এভাবেই থেকে যাচ্ছে কেন টলি ইন্ডাস্ট্রি?
আরও পড়ুন, জুহিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সলমন! সামনে এল ভিডিয়ো
বিতর্ক এড়িয়ে প্রিয়াংশু বললেন, “আপনি আমার ক্ষেত্রে যা যা এখন বললেন, তাতে মনে হয় মানুষ আমায় এ ভাবেই চেয়েছে। আপনি তো সেই কারণেই এ ভাবে বললেন!আমি এতেই খুব খুশি। আমার অভিনয় জীবনে দর্শকের এই ভালবাসাই সবচেয়ে জরুরি।”
মুম্বইতে থাকলেও পুরদস্তুর বাঙালি তিনি। বর্ষা এলেই আজও সর্ষে ইলিশের গন্ধ পান আরব সাগরের তীরে বসে। বাড়িতে মাছের ঝোল আর আলু পোস্ত তাঁর ‘হট ফেভারিট’। আর একান্তে ডুব দেন অস্কার ওয়াইল্ডে।
ছবি থেকে গল্পের বই ‘অস্কার’ ছাড়া কথা বলছেন না আজকাল প্রিয়াংশু!