ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
কমবেশি সকল হিন্দু বাড়িতেই বহু দেবদেবীর মূর্তি ও ছবি রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে আমরা নানা নিয়মও মেনে থাকি। সঠিক নিয়ম মেনে মন্দির স্থাপন করা থেকে শুরু করে দিক মেনে ঠাকুরের বিগ্রহ রাখা, সবটাই নিষ্ঠার সঙ্গে করা হয়। কিন্তু বেশ কিছু ঠাকুরের মূর্তি বা ছবি রয়েছে যা একসঙ্গে রাখতে নেই। এতে ভাগ্যের উপর কুপ্রভাব পড়বে। জেনে নিন কোন কোন বিগ্রহ একসঙ্গে রাখা উচিত নয়।
সিংহাসনে কোন কোন ঠাকুরের বিগ্রহ একসঙ্গে রাখবেন না?
শিবলিঙ্গ: শাস্ত্রমতে শিবলিঙ্গকে অন্যান্য বিগ্রহের সঙ্গে একই সিংহাসনে না রাখাই ভাল। বিশেষ করে শক্তির কোনও বিগ্রহ, যেমন কালী, দুর্গা প্রভৃতি শিবলিঙ্গের সঙ্গে রাখা উচিত নয়। শিবলিঙ্গের মধ্যে প্রচুর শক্তি সঞ্চিত থাকে। সেটিকে শক্তির কোনও বিগ্রহের সঙ্গে না রাখাই শ্রেয়। এতে বাড়ির উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়তে পারে বলে মনে করা হয়।
হনুমান ও শনিদেব: বাড়ির ভিতরে সাধারণত শনির বিগ্রহ রাখা হয় না। তবে বাড়ির বাইরের মন্দিরেও শনিদেব ও হনুমানের মূর্তি একসঙ্গে রাখা যাবে না। এতে বাড়িতে শক্তির ভারসাম্যে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে মনে করা হয়।
শক্তি ও শান্তি: কালী বা দুর্গার ভয় ধরানো রূপের সঙ্গে লক্ষ্মী, সরস্বতী বা গণেশের শান্তি রূপের বিগ্রহকে একত্রে রাখা উচিত নয় বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। এতে শক্তি ও শান্তির মধ্যে ভারসাম্য নড়বড়ে হয়ে যায়। সুপ্রভাব মেলে না।
একই ঠাকুরের নানা রূপ: অনেকেই বাড়িতে নানা ধরনের গণেশের মূর্তি রেখে থাকেন। এই কাজটি করা অত্যন্ত অনুচিত বলে জানাচ্ছে শাস্ত্র। গণেশের মূর্তি বা যে কোনও দেবতার নানা ধরনের মূর্তি রাখার শখ থাকলেও সেগুলিকে এক জায়গায় কখনও রাখা উচিত নয়। বিভিন্ন স্থানে রাখতে পারেন। তবে একই দেবতার ভিন্ন মূর্তি না রাখাই ভাল হবে বলে মনে করা হয়।