কাজল আর কর্ণ জোহরের বন্ধুত্ব যেন বলিউডের এক গল্পকথা। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ হোক বা ‘মাই নেম ইজ খান’। পরিচালক-নায়িকা তো বটেই, তাঁদের সম্পর্কে তার থেকেও বেশি ছিল বন্ধুত্ব। কিন্তু সেই সম্পর্কে চিড় ধরেছিল কয়েক মাস আগে। কর্ণ তাঁর আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ‘আমার আর কাজলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। ভেঙে গিয়েছে। এমন কিছু হয়েছে যেটাতে আমি খুব বিরক্ত হয়েছি। কিন্তু সেটা আমি সকলের সামনে বলতে চাই না। বরং আড়ালেই রাখতে চাইব। সেটাই বোধহয় আমার আর কাজলের জন্য ভাল হবে। ২৫ বছর ধরে যে ইমোশন আমার তৈরি হয়েছিল, সব কিছুকে মেরে ফেলেছে। ও আর আমাকে ডিজার্ভ করে না। আড়াই দশক পরে সম্পর্ক ভাঙল কাজল। কখনও আর ও আমার জীবনে ফিরে আসবে না।’
আরও পড়ুন, কাজল আর আমার জীবনে ফিরবে না, বললেন কর্ণ
এত দিন চুপ করে থাকার পর এ বার এই বিতর্কে মুখ খুললেন কাজল। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, ‘‘সম্পর্ক আসলে একটা জটিল বিষয়, যে কোনও সম্পর্ক টিকিয়ে রাখা যৌথ প্রচেষ্টার ফল। এর সঙ্গে বলিউডের কোনও সম্পর্ক নেই।’’ তিনি আরও জানিয়েছেন, বলিউড তাঁদের কাজের জায়গা। আর কর্ণের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্ব ছিল আর পাঁচটা সাধারণ বন্ধুত্বের মতোই। সেখানে সম্পর্কের সমস্ত অনুভূতিগুলোই উপস্থিত ছিল। সেই অনুভূতির কোনও একটা আঘাত পেলে অন্যগুলো ধীরে ধীরে টলে যায়।
তখন সুখের সময়।
ইন্ডাস্ট্রি সূত্রে খবর, কর্ণের ‘অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল’ এবং অজয় দেবগণের ‘শিবায়’ একই দিনে মুক্তি নিয়ে সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরোক্ষে একে অপরকে কটাক্ষ করেছিলেন। এমনকী, অভিনেতা কমল আর খান টুইট করে জানিয়েছিলেন, ‘শিবায়’ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বদনাম করার জন্য কর্ণ নাকি তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন! এর পরেই কর্ণ তাঁর আত্মজীবনীতে কাজল সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ্যে উগরে দেন। কিন্তু কাজল বিষয়টাকে ব্যক্তিগত স্তরেই রাখতে চেয়েছেন। কর্ণকে নিয়ে প্রকাশ্যে কোনও খারাপ মন্তব্য করেননি।
আরও পড়ুন, রাজ অতীত, ভ্যালেন্টাইনস্ ডে-তে মিমির জীবনে নতুন বন্ধু!