মান্ডি নিয়ে উদ্বিগ্ন কঙ্গনা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
মাসকয়েক আগেই জানিয়েছিলেন, রাজনীতির জগতে এসে তিনি হিমশিম খাচ্ছেন। এ বার নিজেই নিজের এলাকা মান্ডির বিধ্বস্ত অবস্থার কথা তুলে ধরলেন কঙ্গনা রনৌত। এই এলাকারই সাংসদ তিনি। কঙ্গনার আশঙ্কা, মান্ডির ধ্বংসস্তূপের নীচে এখনও আটকে রয়েছে বহু মানুষ। সাংসদ-অভিনেত্রীর পোস্টের পরেই ডেপুটি কমিশনার মানুষের কাছে ভুল খবর না ছড়ানোর আবেদন করেছেন।
কঙ্গনা তাঁর সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “মান্ডিতে বনালার কাছে বড় দুর্ঘটনার খবরে খুবই বিধ্বস্ত লাগছে। ধস নামার পরে ধ্বংসস্তূপের নীচের বহু মানুষ ও যানবাহন আটকে রয়েছে বলে আশঙ্কা হচ্ছে। বিধ্বস্ত পরিবারের সঙ্গে আমি আছি। আমি প্রশাসনের সঙ্গেও অনবরত বিষয়টি নিয়ে কথা বলছি। ত্রাণ এবং উদ্ধারের কাজ চলছে। আশা করছি, ঈশ্বর সকলকে সুরক্ষিত রাখবেন। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।”
তবে কঙ্গনার এই পোস্টের কিছুক্ষণের মধ্যেই বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের চেয়ারম্যান তথা ডেপুটি কমিশনার অপূর্ব দেবগণ, জানান ধ্বংসস্তূপের নীচে মানুষ আটকে রয়েছে এমন কোনও খবর তাঁদের কাছে নেই। তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “দয়া করে গুজব ছড়াবেন না বনালার ধস নিয়ে। ধ্বংসস্তূপের নীচে কেউ আটকে নেই।”
দু’জনের ভিন্ন বক্তব্যে ধন্দে পড়েছেন নেটাগরিক। নিন্দকদের দাবি, রাজনীতির ময়দানে নিজেকে মানিয়ে নিতে গিয়ে ভুল করে ফেলছেন কঙ্গনা। তাঁর রাজনীতি ছেড়ে ফের অভিনয়ে ফেরা উচিত।
বছর ঘুরতেই রাজনীতি নিয়ে তৈরি হওয়া আক্ষেপ এক এক করে ভাগ করে নিয়েছিলেন কঙ্গনা রনৌত। গত বছর বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে হিমাচলপ্রদেশের মান্ডি কেন্দ্রের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি জানিয়েছিলেন, নালা পরিষ্কার করা ও রাস্তা সাফাই করার মতো সমস্যা নিয়ে তাঁর দ্বারস্থ হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বিষয়টি মোটেই পছন্দ হচ্ছে না তাঁর। রাজনীতি করে রোজগারের পরিমাণ নিয়েও সন্তুষ্ট নন বলেও জানিয়েছিলেন।