সঞ্জয়ের সঙ্গে বিয়ে বাঁচাতে কী করেন করিশ্মা? ছবি: সংগৃহীত।
১৩ বছরের এক তিক্ত দাম্পত্য ভেঙে বেরিয়ে আসেন করিশ্মা কপূর। শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরের সঙ্গে বিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। তাঁর বিয়ে নিয়ে যেমন চর্চা হয়েছিল, ততোধিক চর্চা হয় বিচ্ছেদের সময়। ২০০৩ থেকে ২০১৬— মাঝখানে একাধিক উত্থান-পতনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে তাঁদের সম্পর্ক। বিয়ের পর থেকে দিল্লির শ্বশুরবাড়িতে খাপ খাইয়ে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল করিশ্মার। প্রাক্তন শাশুড়ির বিরুদ্ধে গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগও করেন অভিনেত্রী। বাসর রাতে তাঁকে নিলামে তুলেছিলেন বর, এমনও অভিযোগ ছিল করিশ্মার। এ বার সঞ্জয়ের অকালমৃত্যুর পর ফের চর্চায় করিশ্মার দাম্পত্যজীবন। বিয়ে বাঁচানোর বহু চেষ্টা করেছিলেন তিনি।
দিদির বিয়ে যখন টালমাটাল সেই সময় চেন্নাইয়ে শুটিং করছেন করিনা। করিশ্মার ভাঙা দাম্পত্যের খবর ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে। সেই সময় প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় করিনাকে। তিনি দিদি হয়ে বলেন, ‘‘যে কোনও বিবাহিত সম্পর্কে ওঠা-পড়া থাকে। সংবাদমাধ্যমে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। তাঁদের সময় দিতে হবে তো বিষয়টা ঠিক করার জন্য। আমার দিদি-জামাইবাবু নিজেদের সম্পর্ক ঠিক করতে গোয়া গেল। কিন্তু সেখানে পিছু নিল সংবাদমাধ্যম।’’ করিনা সেই সময় আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়েছিলেন ওদের মধ্যে যে সমস্যাগুলি রয়েছে, খুব শীঘ্রই মিটিয়ে নেবে। কারণ ওরা একে অপরকে খুব ভালবাসে।
যদিও করিশ্মা মেয়ে সামাইরার জন্ম তাঁদের দাম্পত্য জোড়ালাগার অন্যতম কারণ ছিল। ২০০৫-এ মেয়ের জন্মের পর স্বামীর সঙ্গে ফের দিল্লি বাড়িতে থাকতে শুরু করেন। কয়েক বছর ঠিকঠাকই ছিল সব কিছু। কিন্তু ছেলে কিয়ানের জন্মের পর অশান্তি চরমে ওঠে। তার পর দীর্ঘ আইনি লড়াই ও শেষমেশ বিচ্ছেদ।