lata mangeshkar

Lata Mangeshkar: ৮ ঘণ্টা টানা দাঁড়িয়ে লতাজি গেয়েছিলেন ‘লুকাছুপি’, ফিরে দেখলেন ‘রং দে বসন্তি’র পরিচালক

‘রং দে বসন্তী’ ছবির এই গান শুনে চোখ ভেজেনি, এমন মানুষ পাওয়া ভার! জানেন কি, সেই গানের রেকর্ডিং করতে টানা আট ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন খোদ লতা মঙ্গেশকর?

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৮:৩৮
Share:

লতার গলায় 'লুকাছুপি' শুনে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি কেউই

বায়ুসেনা অফিসার ছেলেকে সদ্য হারিয়েছেন মা। শোকে পাথর মা ছুঁয়ে দেখছেন ছেলের স্মৃতি। প্রতিবাদে ফেটে পড়া একদল তরুণের মাঝে ছেলেকেই খুঁজে বেড়াচ্ছে মায়ের চোখ। ব্যাকগ্রাউন্ডে লতা গাইছেন ‘লুকাছুপি বহুত হুই…’। ‘রং দে বসন্তী’ ছবির এই গান শুনে চোখ ভেজেনি, এমন মানুষ পাওয়া ভার! জানেন কি, সেই গানের রেকর্ডিং করতে টানা আট ঘণ্টা ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন খোদ লতা মঙ্গেশকর?

দশ বছর পার করল আমির খান, সোহা আলি খান, আর মাধবন অভিনীত তুমুল জনপ্রিয় ছবি ‘রং দে বসন্তী’। এ আর রহমানের সুরে ছবির প্রত্যেকটি গান সে সময়ে মুখে মুখে ফিরেছিল। তারই অন্যতম ‘লুকাছুপি’। ছবির দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে কিংবদন্তি গায়িকার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন ছবির পরিচালক রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা।

Advertisement

'লুকাছুপি' গানটির একটি দৃশ্য

তখন ছবির কাজ চলছে। ‘লুকাছুপি’র রেকর্ডিং হওয়ার কথা ছিল ১৫ নভেম্বর। রাকেশের কথায়, “লতাজি নিজেই জানালেন, তিনি ৯-১০ নভেম্বর নাগাদই চেন্নাইতে রহমানের স্টুডিওতে চলে আসবেন। আমরা সবাই ভেবেছিলাম, অন্য কোনও প্রয়োজনে আগে চলে আসছেন। পরে জানলাম, লতাজি শুধুমাত্র আগে মহড়া দিয়ে নিখুঁত ভাবে গানটা গাইবেন বলেই আগে চলে এসেছেন। এত বড় এক জন মানুষ, এখনও এমন করতে পারেন, আমাদের কল্পনাতেও আসেনি! অবশ্য তখনও জানি না, লতাজি এর চেয়েও বেশি অবাক করে দেবেন আমাদের!”

কী করেছিলেন লতা?

রাকেশ বলেন, “সে দিন ছিল ‘লুকাছুপি’র রেকর্ডিং। ঠিক সময়ে লতাজি পৌঁছে গেলেন স্টুডিওয়। তার পর টানা ৮ ঘণ্টা মাইকের সামনে। ঠায় দাঁড়িয়ে। আমরা চেয়ার রেখেছিলাম পাশে। বসেননি। ৮ ঘণ্টা ধরে ও ভাবেই পুরো গান রেকর্ডিং করেছিলেন অত বড় এক জন শিল্পী। আমরা হাঁ করে দেখেছিলাম সবটা। শিখেছিলাম ওনার থেকে। সাধে কি লতাজি কিংবদন্তী!”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন