৯ বছর মধুবালার সেবা করেছিলেন কিশোর কুমার। ছবি: সংগৃহীত।
বিয়ের আগেই জানতেন মধুবালা অসুস্থ, নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন কিশোর কুমার। এক সময়ে দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন অভিনেত্রী মধুবালা। কিন্তু সেই সম্পর্কে মত ছিল না মধুবালার বাবার। অতঃপর ভেঙে যায় সেই প্রেম। এর পরে কিশোর কুমারকে বিয়ে করেছিলেন মধুবালা। ১৯৬৯ সালে প্রয়াত হয়েছিলেন অভিনেত্রী।
কিশোরের সঙ্গে বিয়ের পরে ক্রমশ অসুস্থ হতে থাকেন অভিনেত্রী। শোনা যায়, কিশোর কুমার নাকি অসুস্থতার জন্য মধুবালাকে তাঁর বাবার কাছে রেখে এসেছিলেন। কিন্তু এক সাক্ষাৎকারে প্রয়াত গায়ক সত্য প্রকাশ্যে এনেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “বিয়ের আগে থেকেই আমি জানতাম, ও অসুস্থ। কিন্তু আমি আমার প্রতিজ্ঞা রেখেছিলাম। বিয়ে করে স্ত্রী হিসাবে ওকে বাড়িতে নিয়ে এসেছিলাম। যদিও আমি জানতাম, ওর হৃদ্যন্ত্রে সমস্যা রয়েছে এবং ধীরে ধীরে ও আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছে।”
স্ত্রীর কী ভাবে সেবা করেছিলেন, তা-ও জানান কিশোর। তিনি বলেছিলেন, “দীর্ঘ ৯ বছর আমি ওর সেবা করেছিলাম। নিজের চোখের সামনে ওর মৃত্যু দেখেছিলাম। নিজের জীবনে না ঘটলে, এর অনুভূতি উপলব্ধি করা যায় না। কী সুন্দরী ছিল ও! মৃত্যুর সময়ে প্রবল যন্ত্রণা পেয়েছিল ও। অবসাদে ও চিৎকার করত। একটা কর্মঠ মানুষ যদি দীর্ঘ নয় বছর শয্যাশায়ী হয়ে থাকে, তা হলে তাঁর কী অবস্থা হতে পারে! সব সময়ে ওকে রসিকতায় ভুলিয়ে রাখতাম। চিকিৎসক আমাকে সেটাই করতে বলেছিলেন। ওর শেষ দিন পর্যন্ত আমি সেটাই করে গিয়েছিলাম। ওর সঙ্গে হাসতাম। ওর সঙ্গে কাঁদতাম।”
কিন্তু অন্য এক সাক্ষাৎকারে কিশোর কুমার বলেছিলেন, তিনি কখনওই মধুবালার প্রেমে পড়েননি। মধুবালা নিজেই তাঁকে প্রেম প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিশোর বলেছিলেন, “আমার কাছে মধুবালা ছিল দিলীপ কুমারের প্রেমিকা মাত্র। ওদের মধ্যে খবর দেওয়া নেওয়ার কাজ ছিল আমার। ওই আমাকে বিয়ের জন্য জোর করেছিল।”