Left-Congress Brigade Meeting in West Bengal

বামপন্থীদের পক্ষে ভিড় বাড়ছে, বলছেন শ্রীলেখা, দেবজ্যোতি, চন্দন, কমলেশ্বরেরা

প্রচুর মানুষ এ দিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। ভোট নিয়ে তা হলে কতটা আশাবাদী তাঁরা?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ২০:০৪
Share:

সমাবেশের গোড়াতেই ‘গরম ভাত’ বলে একটি গান গেয়েছেন টলি-তারকারা।

তৃণমূল আর বিজেপি-র লড়াইয়ে ভাঙন টলিউডে। এরই মধ্যে রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে হাজির বামসমর্থক বেশ কয়েক জন টলি-তারকা। আসন্ন নির্বাচনে টলি-পাড়ায় বামেদের ঘরও যে একেবারে খালি নয়, তা পরিষ্কার এই ঘটনা থেকে। কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, সব্যসাচী চক্রবর্তী, শ্রীলেখা মিত্র, দেবজ্যোতি মিশ্র, চন্দন সেন, দেবদূত ঘোষ-সহ আরও বেশ কিছু পরিচিত মুখ এ দিন হাজির ছিলেন মাঠে। সমাবেশে একটা বড় সময়ে সঞ্চালনার দায়িত্ব সামলান বাদশা মৈত্র।

দীর্ঘ দিন ধরেই বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত সঙ্গীত পরিচালক দেবজ্যোতি মিশ্র। কী মনে হল এ দিন সমাবেশে হাজির হয়ে? ‘‘প্রচুর মানুষ বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। এই অংশগ্রহণটাই আসল। খুব ইতিবাচক একটা অনুভূতি হয়েছে সমাবেশ থেকে।’’ একই প্রশ্নের উত্তরে শ্রীলেখা মিত্রের জবাব, ‘‘ধসে গিয়েছি আমি। অসাধারণ একটা অভিজ্ঞতা হল। আমি খুব উত্তেজিত।’’ অভিনেতা চন্দন সেনের কথায়, ‘‘৭৭-এ বাবার সঙ্গে ব্রিগেডে গিয়েছিলাম। সেই ভিড়টাই মনে পড়ে গেল এ বার।’’

সমাবেশের গোড়াতেই ‘গরম ভাত’ বলে একটি গান গেয়েছেন টলি-তারকারা। ‘সারা পৃথিবী জুড়ে সকলের ঘরে ঘরে গরম ভাতের গন্ধ থাক’— গলা মিলিয়েছেন দেবজ্যোতি, সব্যসাচী, কমলেশ্বরেরা। ‘‘তরুণ প্রজন্ম যে ভাবে এই সমাবেশে হাজির হয়েছে, সেটা খুবই আশাব্যঞ্জক’’, বলছেন দেবজ্যোতি। কমলেশ্বরের কথায়, ‘‘রবিবারের ব্রিগেড প্রতিপক্ষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়েছে।’’ শ্রীলেখা বলছেন, ‘‘একেবারে মঞ্চের নীচে বসেছিলাম। মানুষের প্রতিক্রিয়া দেখে গায়ে কাঁটা দিচ্ছিল। কত অল্প বয়সি ছেলেমেয়ে এসেছিল! কী ভিড়!’’

প্রচুর মানুষ এ দিন সমাবেশে হাজির হয়েছিলেন। ভোট নিয়ে তা হলে কতটা আশাবাদী তাঁরা? কমলেশ্বর এবং শ্রীলেখা ভোটের ভাল ফল নিয়ে আশাবাদী। কমলেশ্বরের বক্তব্য, ‘‘ব্রিগেডের এই আবেগ যদি বুথ পর্যন্ত ছড়ায়, ভোট লুঠ না হয়— রাজ্যে শীঘ্রই বদল আসছে মনে হয়।’’ তবে কিছুটা সংশয় দেবজ্যোতির গলায়। ‘‘দেখতে হবে, এই ভিড়ের কতটা ভোটে রূাপন্তরিত হয়’’, বলছেন তিনি। তবে কি সংশয় রয়েছে, সমাবেশে হাজির সবাই জোটের পক্ষে ভোট নাও দিতে পারেন? ‘‘আমরা বামপন্থী। ইতিবাচক ভাবনাই আমাদের অভ্যাস। তেমনটাই ভাবছি’’, বলছেন সঙ্গীতপরিচালক।

তবে ভোটের ফলাফল নিয়ে অতটাও চিন্তিত নন চন্দন। তাঁর কথা, ‘‘বামপন্থীরা সরকার গড়তে পারছেন কি না, তা নিয়ে অতটাও চিন্তিত নই। কিন্তু বিরোধী-শূন্য করে দেওয়ার যে প্রবণতাটা চলছিল, সেটা থামিয়ে দিল এই ব্রিগেড।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন