রজনীগন্ধা। এই একটি ছবিতেই বলিউড মাত করেছিলেন এই নায়িকা। মনে পড়ে তাঁকে?
অমল পালেকরের বিপরীতে তিনি কাজ করেছিলেন বাসু চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত ছবিটিতে। মাত্র ১৭ বছর বয়সে তিনি মিস বম্বে হয়েছিলেন।
১৮ বছর বয়স থেকে মডেলিং দিয়ে বিনোদন জগতে প্রবেশ করেন বিদ্যা সিন্হা নামের এই অভিনেত্রী। ‘রাজা কাকা’ নামের একটি ছবি দিয়ে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি।
১৯৭৫ সালে ‘ছোটি সি বাত’ ছবিটিতে তাঁর অভিনয় অসম্ভব জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। ১৯৭৭ সালের ‘পতী পত্নী অউর উহ’-তেও জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন তিনি। ছবিগুলি ছিল একেবারে অন্যরকম।
তিনি কিন্তু এক অর্থে স্টার কিড। বিদ্যার বাবা বলিউডে সহকারী পরিচালকের কাজ করতেন। দাদু মোহন সিংহ ছিলেন বিখ্যাত পরিচালক। মধুবালার নাম দিয়েছিলেন মোহন। মদন পুরীকে বলিউডে ডেবিউ করিয়েছিলেন মোহনই।
বলিউডে প্রবেশের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছিল বিদ্যার। কিন্তু স্বামী পাশে থাকায় সমস্যা হয়নি তাঁর।
‘সত্যম শিবম সুন্দরম’ ছবিতে জিনাত আমনের আগে অভিনয় করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল তাঁকেই। কিন্তু খোলামেলা পোশাকে স্বচ্ছন্দ ছিলেন না, তাই ফিরিয়ে দেন অভিনয়ের প্রস্তাব।
মা হওয়ার পর ১২ বছর ধরে তৈরি করা জায়গা থেকে সরে আসেন তিনি। সেটা আটের দশক। ছবিতে কাজ করা ছেড়ে দেন। যদিও সঞ্জীব কুমার, শশী কপূর, বিনোদ খন্না, বিনোদ মেহেরার সঙ্গে অভিনীত ছবিগুলি জনপ্রিয় হয়।
স্বামী ভেঙ্কটেশ্বরন আইয়ার মারা যান ১৯৯৬ সালে। মেয়ের উৎসাহে ফের ছবির জগতে ফেরেন বিদ্যা। ছোট পর্দায় নিজের জায়গা করে নেন আস্তে আস্তে।
২০০০ সালে ‘বহুরানি’, ২০০৪ সালে ‘কাব্যাঞ্জলি’, ‘হাম দো হ্যায় না’ ধারাবাহিকগুলি বেশ জনপ্রিয় হয়। বিশেষ করে একতা কপূরের ‘কাব্যাঞ্জলি’তে প্রশংসিত হয় তাঁর অভিনয়।
সেই সময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে বিদ্যার পরিচয় হয় অস্ট্রেলিয়াবাসী চিকিৎসক নেতাজি সালুঙ্খের। স্বামী মারা গিয়েছিলেন আগেই। ২০০১ সালে সালুঙ্খেকে বিয়ে করেন তিনি।
মুম্বইয়ের ভারসোভা এলাকায় থাকা শুরু করেন দু’জন। হিন্দি ধারাবাহিকেও কাজও করছিলেন তখন তিনি। ২০০৯ সালে স্বামীর বিরুদ্ধে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ আনেন বিদ্যা। বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় বিদ্যার।
বর্তমানে ‘জারা’, ‘ভাবি’ ইত্যাদি বিভিন্ন সিরিজের অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।