San Rachel

কৃষ্ণবর্ণের জন্য কাজ হারান, গায়ের রং নিয়ে কথা বলতেন! আত্মঘাতী মডেল স্যান রেচেল

অপরিমিত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। প্রথমে তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুলাই ২০২৫ ১৮:১৭
Share:

আত্মঘাতী দক্ষিণী মডেল। ছবি: সংগৃহীত।

গায়ের রং নিয়ে কথা বলেছিলেন। ভারতের রুপোলি দুনিয়ায় সবারই থাকার অধিকার আছে বলে একাধিক বার সরব হয়েছিলেন পেশায় মডেল স্যান রেচেল। রবিবার পুদুচেরির জওহরলাল ইনস্টিটিউট অফ পোস্টগ্র্যাজুয়েট মেডিক্যাল এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (জিম্পার)-এ মারা গেলেন বছর ২৬-এর সেই মডেল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এমনই। স্যানের বাবার বাড়ি থেকে একটি সুইসাইড নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁর মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয় বলে সুইসাইড নোটে বয়ান লিখে গিয়েছেন মডেল, জানিয়েছে পুলিশ।

Advertisement

জানা গিয়েছে, অপরিমিত ঘুমের ওষুধ খেয়ে ফেলেছিলেন তিনি। অসুস্থ অবস্থায় প্রথমে তাঁকে ইন্দিরা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে এক বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে স্থানান্তরিত করানো হয়। এর পরে সেখান থেকে জিম্পার-এ ভর্তি করানো হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। মৃত্যুর পরে স্যানের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।

স্যানের জন্ম ও বড় হয়ে ওঠা পুদুচেরিতে। খুব অল্প বয়সে তাঁর মাকে হারিয়েছিলেন মডেল। বাবা ডি গান্ধী বড় করেছিলেন তাঁকে। বাবার উৎসাহেই মডেলিং শুরু করেছিলেন স্যান। প্রথম দিকে গায়ের রঙের জন্য নাকি তাঁকে বেশ কিছু কাজ হারাতে হয়েছিল। তবে সেই ‘বাধা’ অতিক্রম করেই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন স্যান। যার ফলে নিজেও বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে কথা বলতেন। বহু মহিলাকে গায়ের রং নিয়ে ছুতমার্গে পরোয়া না করতে অনুপ্রেরণা জোগাতেন তিনি। সম্প্রতি বিয়ে করেছিলেন এবং স্বামীর সঙ্গে থাকতেন।

Advertisement

‘মিস ডার্ক কুইন তামিলনাড়ু’, ‘মিস বেস্ট অ্যাটিটিউড’ ইত্যাদি নানা সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন স্যান। শুধু সৌন্দর্য নয়, ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর বহু অনুরাগী ছিলেন। লন্ডন, জার্মানি, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ফ্রান্সের একাধিক অনুষ্ঠানে ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement