Nafisa Joseph

প্রণয়ীর কাছে প্রতারিত হয়েই কি বিয়ের কয়েক দিন আগে আত্মঘাতী হন প্রাক্তন ভারতসুন্দরী?

বিয়ের ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নাফিসার। মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:০৬
Share:
০১ ১৪

২২ বছর আগে সর্বকনিষ্ঠ প্রতিযোগিনী হিসেবে পেয়েছিলেন মিস ইন্ডিয়া খেতাব। ইন্ডাস্ট্রিতে একটু একটু করে সবে পাখা মেলছিল কেরিয়ার। অকালে থেমে গেলেন তিনি। মাত্র চব্বিশ বছর বয়সে আত্মঘাতী হয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতসুন্দরী ও মডেল নাফিসা জোসেফ। নাফিসার জন্ম ১৯৭৮-এর ২৮ মার্চ, দিল্লিতে। বাবা নির্মল জোসেফ ছিলেন আদতে কেরলের ক্যাথলিক খ্রিস্টান। মা, ঊষা বাঙালি এব‌ং শর্মিলা ঠাকুরের আত্মীয়া।

০২ ১৪

মিশ্র সংস্কৃতিতে ক্যাথলিক ভাবধারায় নাফিসা বড় হন বেঙ্গালুরু শহরে। তাঁর ঠাকুমা ছিলেন ইসলাম ধর্মাবলম্বী। তাই নাতনির নাম রাখা হয় ‘নাফিসা’।

Advertisement
০৩ ১৪

মাত্র ১২ বছর বয়সে মডেলিং শুরু করেন নাফিসা। বিশপ কটন গার্লস স্কুল, সেন্ট জোসেফস কলেজ থেকে পাশ করে মডেলিংকেই পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন তিনি।

০৪ ১৪

১৯৯৭ সালে মিস ইন্ডিয়া হয়েছিলেন তিনি। সে বছর মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় চূড়ান্ত পর্বেও পৌঁছেছিলেন নাফিসা।

০৫ ১৪

এর পর টেলিভিশনে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন। এম টিভির প্রধান ভিডিয়ো জকি ছিলেন নাফিসা। টানা পাঁচ বছর এম টিভির জনপ্রিয় শো সঞ্চালনা করেছেন তিনি।

০৬ ১৪

টেলিভিশনে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি শো সঞ্চালনাও করেছেন। ‘জসসি জ্যায়সি কোই নেহি’ সিরিয়ালে নাফিসাকেই প্রথমে খলনায়িকার চরিত্রে মনোনীত করা হয়েছিল। পাইলট পর্বের শুটিং-এর পরে তিনি বাদ পড়েন।

০৭ ১৪

বড় পর্দায় তাঁকে সে ভাবে দেখা যায়নি। ছোট্ট কৌতুক ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন সুভাষ ঘাইয়ের ‘তাল’ ছবিতে।

০৮ ১৪

মডেলিং কেরিয়ারের সময়েই নাফিসার আলাপ গৌতম খান্দুজার সঙ্গে। নাইট ক্লাবে আলাপ থেকে ক্রমে প্রেম। তারপরে ২০০৪ সালে বিয়ের সিদ্ধান্ত।

০৯ ১৪

বিয়ের ঠিক কয়েক সপ্তাহ আগে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নাফিসার। মুম্বইয়ে নিজের ফ্ল্যাটের ঘরে সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়।

১০ ১৪

নাফিসার মায়ের অভিযোগ ছিল, এই মৃত্যুর জন্য দায়ী খান্দুজার সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যাওয়া। বিয়ে ভেঙেছিলেন নাফিসা-ই।

১১ ১৪

নাফিসার বাড়ির লোকের বক্তব্য ছিল, প্রথম বিয়ে না ভেঙেই দ্বিতীয় বিয়ে করতে এসেছিলেন খান্দুজা। তাঁর কাছ থেকে বারবার ডিভোর্সের নথি দেখতে চেয়েছিলেন নাফিসা। কিন্তু অভিযোগ, তা তিনি দেখাতে পারেননি। ফলে বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন নাফিসা।

১২ ১৪

পুলিশি তদন্তে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২৯ জুলাই মায়ের সঙ্গে উত্তপ্ত বাদানুবাদ হয় নাফিসার। এরপর তিনি নিজের ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। কিছু ক্ষণ পরে সেই ঘরেই সিলিং ফ্যান থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। হাসপাতালে নিয়ে যাওযার পথে মৃত্যু হয় চব্বিশ বছর বয়সি নাফিসার।

১৩ ১৪

যদিও খান্দুজার দাবি ছিল, তাঁদের এনগেজমেন্ট ভাঙার সঙ্গে নাফিসার অপমৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। নাফিসার বজমেজাজের জন্য তিনিই সম্পর্ক থেকে সরে আসেন বলে জানান খান্দুজা।

১৪ ১৪

পাশাপাশি, খান্দুজা আরও বলেন, তাঁর আগে আরও দু’জনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল নাফিসার। কিন্তু সে দু’টি ক্ষেত্রেও এনগেজমেন্টের পরিণতি বিয়ে অবধি পৌঁছয়নি। ২০০৬ সালে এই মামলার শুনানি থেকে ব্যবসায়ী খান্দুজাকে মুক্তি দেয় বম্বে হাইকোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement