Neel Bhattacharya

Neel-Trina: তৃণার মামার মৃত্যু রক্তের অভাবে, প্রজাতন্ত্র দিবসে রক্তদান শিবির করলেন ‘গুনগুন’

নীলের দাবি, ‘‘প্রত্যক্ষ রাজনীতির লোভে নয়, সবার পাশে থাকব বলেই আমরা রাজনীতিতে।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জানুয়ারি ২০২২ ১৪:৩০
Share:

তৃণা সাহা এবং নীল ভট্টাচার্য।

সমগ্র দেশের কথা ভাবা সম্ভব নয়। কিন্তু নিজের শহর, শহরবাসী, অযত্নে পড়ে থাকা পথপশুদের কথা ভাবা যেতেই পারে। ভাবা যেতে পারে সেই সব মুমূর্ষু রোগীদের কথা, যাঁরা রক্তের অভাবে অসময়ে বিদায় নেন। তাঁদের জন্য অনেক দিন ধরেই রক্তদান শিবিরের আয়োজনের ইচ্ছে তৃণা সাহার। ইচ্ছে থাকলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছিল না। ২৬ জানুয়ারি, ৭৩তম প্রজাতন্ত্র দিবসে সেই ইচ্ছেও পূরণ ছোট পর্দার ‘গুনগুন’-এর। স্বামী নীল ভট্টাচার্য, প্রযোজক রানা সরকারকে নিয়ে তিনি ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দপুর বাসস্ট্যান্ডে আয়োজন করলেন এক রক্তদান শিবিরের। সৌজন্যে পুরপিতা সুশান্ত ঘোষ।

আনন্দবাজার অনলাইনকে নীল বলেছেন, ‘‘তৃণার এক মামা রক্তের অভাবে চলে গিয়েছেন। তার পর থেকেই ওর খুব ইচ্ছে এই ধরনের শিবির করার। সুশান্তদা সহযোগিতা করায় সেই ইচ্ছে পূরণ হল অবশেষে।’’ ‘কৃষ্ণকলি’র পরে নীল ধারাবাহিক ‘উমা’য় নায়কের ভূমিকায় অভিনয় করছেন। তাঁর দাবি, বহু জন তাঁদের ডাকে সাড়া দিয়েছেন। স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে এসে রক্ত দান করে গিয়েছেন।

Advertisement

তৃণার মামার মৃত্যু রক্তের অভাবে, প্রজাতন্ত্র দিবসে রক্তদান শিবির করলেন ‘গুনগুন’

শুধু রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেই থেমে থাকেননি তারকা দম্পতি। ২৫ জানুয়ারির রাতে তাঁরা গড়িয়াহাট অঞ্চলে ২০০ জন পথবাসীদের হাতে তুলে দেন কম্বল। তৃণার কথায়, ‘‘এই অঞ্চলে আামদের অফিস আছে। সেই সূত্রে প্রায়ই আসি আমরা। তখনই দেখেছি, ঠান্ডার মধ্যে কুঁকড়ে ফুটপাথে শুয়ে থাকেন কত মানুষ। দেখে খুবই খারাপ লেগেছিল। প্রজাতন্ত্র দিবসের আগে আমরা তাই তাঁদের পাশে।’’ পাশাপাশি, স্থানীয় পথপশুদের মাংস-ভাত খাইয়েছেন নীল। দম্পতির কথায়, পুরপিতা সহ বিভিন্ন মানুষ নানা ভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে না দিলে এই কাজ তাঁরা করে উঠতে পারতেন না। প্রযোজক রানার কথায়, নীল-তৃণার সমাজসেবায় যুক্ত থাকতে পেরে খুশি তিনিও।

Advertisement

এ ভাবেই সমাজ, শহরের পাশে থাকবেন বলেই রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এসেছিলেন নীল-তৃণা? উভয়ের গলাতেই তৃপ্তির ছোঁয়া। নীলের মতে, ‘‘অভিনয়ের দৌলতে কিছু মানুষ আমাদের চেনেন। সেই ক্ষেত্রই বিস্তৃত হয় যখন রাজনৈতিক মঞ্চ মেলে। প্রত্যক্ষ রাজনীতির লোভে নয়, এ ভাবে সবার পাশে থাকব বলেই আমরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে রয়েছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন