ঈশ্বরভক্তি নিয়ে কী বললেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়? ছবি: ফেসবুক।
পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় কি আরও পরিণতমনস্ক হয়ে উঠছেন? কালীপুজোর রাতে বাড়িতে হোমের আয়োজন করেছিলেন অভিনেতা। তার থেকেই একের পর এক প্রশ্নের জন্ম। কেউ জানতে চেয়েছেন, তাঁর ইশ্বরভক্তি কি বেড়েছে? কেউ বিস্মিত, তিনি তো নাস্তিক ছিলেন! কবে আস্তিক হলেন?
এই ধরনের মন্তব্য তাঁর সমাজমাধ্যমেই জ্বলজ্বল করছে। চোখে পড়েছে পরিচালক-অভিনেতারও। সে কথা আনন্দবাজার ডট কম-এর সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে পরমব্রত পাল্টা প্রশ্নও রেখেছেন, “কবে বলেছি যে আমি নাস্তিক?” তাঁর এও দাবি, “আমার প্রগতিশীল ভাবনার সঙ্গে ঈশ্বরভক্তির কোনও বিরোধ নেই।”
বাড়িতে হোমে বসেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। ছবি: ফেসবুক।
নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। পরিচালক-অভিনেতার কথায়, “বাড়িতে হোম করছি, সেই ছবিই ভাগ করে নিয়েছিলাম। ছবির নীচে দেখি নানা মন্তব্য! চোখে পড়েছে। পড়তে পড়তে হেসেওছি।” তাঁর বাড়িতে ঠাকুরঘর আছে। সেখানে নিত্যপুজো হয়। স্ত্রী পিয়ার কথার পুনরাবৃত্তি পরমব্রতের কথাতেও। এও জানান, তিনিও মন্দিরে যান। পুজো দেন। বাড়িতে এর আগেও হোমের আয়োজন করেছেন। কখনও নিজেকে ‘নাস্তিক’ দেখাননি। তার পরেও কেন তাঁর ঈশ্বরবিশ্বাস নিয়ে এত প্রশ্ন উঠছে, বুঝতে পারছেন না।
ঈশ্বরের প্রতি কি আত্মনিবেদন বাড়ছে অভিনেতার? এই প্রশ্ন এড়িয়ে যাননি পরমব্রত। তিনি অকপটে স্বীকার করেছেন, সত্যিই হয়তো তাঁর আত্মনিবেদন বেড়েছে। পরমব্রতের জবাব, “একটা বয়সের পর সকলেরই চিন্তাভাবনা একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত হয়। আমারও বয়স বাড়ছে। সন্তানের বাবা হয়েছি। আমারও উপলব্ধি বা চেতনা একই ভাবে হয়তো এক আধারে জড়ো হচ্ছে।” দেবী কালী তাঁর কাছে শুধুই দেবী নন, মাতৃশক্তির প্রতীক — সে কথা জানাতেও ভোলেননি। তাঁর কথায়, “আমার কাছে এই বিশেষ দিন মাতৃ-আরাধনার দিন। নিজের বাড়িতে সেটাই করেছি।”