Raj Kundra

পচে গিয়েছে শিল্পার স্বামীর কিডনি! কী খেয়ে এমন অবস্থা রাজের? চাঞ্চল্যকর দাবি ফলাহারী বাবার

প্রেমানন্দ মহারাজকে কিডনি দিতে চান রাজ কুন্দ্রা। শিল্পপতির এ হেন প্রস্তাব নাকচ করার পরামর্শ দিলেন অন্য এক আধ্যাত্মিক গুরু ফলাহারী বাবা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৫:১৮
Share:

শিল্পার স্বামীকে নিয়ে চাঞ্চল্যকর মন্তব্য আধ্যাত্মিক গুরুর। ছবি: সংগৃহীত।

দিন কয়েক আগে আধ্যাত্মিক গুরু প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে স্বামী রাজ কুন্দ্রাকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন শিল্পা শেট্টী। যদিও সেই দিন অভিনেত্রী নন, প্রচারের সব আলো ছিনিয়ে নেন তাঁর স্বামী। তাঁর নাম জড়িয়ে রয়েছে একাধিক বিতর্কে। কখনও পর্নকাণ্ড, কখনও আবার আর্থিক কেলেঙ্কারির সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। এত সব বিতর্কের মাঝে ফের চর্চায় রাজ। এ বার একেবারে নিজের কিডনি দান করতে চাইলেন অভিনেত্রীর স্বামী। তা-ও আবার প্রেমানন্দ মহারাজকে। যদিও আধ্যাত্মিক গুরুকে শিল্পপতির এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পরামর্শ দিলেন অন্য এক আধ্যাত্মিক গুরু, যাঁর নাম ফলাহারী বাবা। তবে রাজের ওই প্রস্তাব সঙ্গে সঙ্গেই নাকচ করে দিয়েছিলেন প্রেমানন্দ মহারাজ।

Advertisement

কিডনি ফেরানোর পরামর্শ কেন দিলেন ফলাহারী বাবা? মথুরানিবাসী ওই আধ্যাত্মিক গুরুর দাবি, রাজের কিডনি এমনিতেই পচে গিয়েছে। রাজ নাকি এত মাংস ও মদ খান যে তাঁর কিডনির শুদ্ধতা বলে কিছুই বাকি নেই। তাই ফলাহারী বাবা নিজের কিডনি দান করতে চেয়েছেন। তিনি প্রেমানন্দ মহারাজকে চিঠি লিখে সরাসরি জানান, রাজের কিডনি নয়, প্রয়োজন পড়লে একমাত্র তাঁর কিডনি যেন নেওয়া হয়। চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘‘বহু বছর ধরে আমি শুধুই ফলাহার করে বেঁচে আছি। আপনি আমার কাছে ঈশ্বরতুল্য। আপনি আমার কিডনি ছাড়া আরও কারও কিডনি নেবেন না। রাজের তো মদ-মাংস খেয়ে এমনিতেই কিডনি পচে গিয়েছে।’’

দীর্ঘ দশ বছর ধরে দুটো কিডনিই বিকল প্রেমানন্দজির। তিনি মনে করেন, যে কোনও মুহূর্তে ঈশ্বর তাঁকে ডেকে নিতে পারেন। কিন্তু তা নিয়ে তিনি বিন্দুমাত্র ভয় পান না। এই শুনেই রাজ বলেন, “গত দু’বছর ধরে আমি আপনাকে অনুসরণ করছি। আমার কোনও প্রশ্ন নেই আপনার কাছে। তার কারণ, আপনার ভিডিয়োগুলিতেই আমি সব উত্তর খুঁজে পাই। আপনি আমাদের সবার অনুপ্রেরণা। আমি আপনার স্বাস্থ্যের অবস্থা জানি। আমি যদি আপনাকে একটি কিডনি দিয়ে সাহায্য করতে পারি, ভাল লাগবে।” যদিও রাজের এই প্রস্তাব তখনই খারিজ করে দেন প্রেমানন্দ মহারাজ।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement