প্রেমানন্দের দ্বারস্থ বাদশা। ছবি: সংগৃহীত।
প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে পৌঁছোলেন র্যাপার বাদশা। উত্তরপ্রদেশের বৃন্দাবনে আধ্যাত্মিক গুরুর বাণী শুনলেন মন দিয়ে। বাদশার সঙ্গে ছিলেন তাঁর দাদা। জীবন ও সম্পর্কের আসল উদ্দেশ্য কী, প্রেমানন্দ মহারাজকে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁরা।
পরনে নীল সাদা শার্ট, তার উপরে লাল ও সোনালি রঙের উত্তরীয়। হাঁটু মুড়ে, মাথা নিচু করে বসেছিলেন বাদশা। র্যাপারকে সচরাচর এই বেশে দেখা যায় না। কিন্তু এ দিন মন শান্ত করে, তিনি শুধুই শুনছিলেন আধ্যাত্মিক গুরুর কথা। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ভাইরাল।
বাদশার দাদা প্রেমানন্দ মহারাজকে বলেন, “এই জগতে, বহু মানুষ সত্য শুনতে চান। কিন্তু সত্য শোনার পরে, তার প্রভাব পড়ে সম্পর্কের উপর। ভালবাসা কমতে থাকে। তা-ও সত্যি কথা শোনার ইচ্ছে আমাদের মধ্যে থেকেই যায়। কিন্তু সত্য জানার পরে সবাই দূরে সরে যায়। এ যেন অভিশাপের মতো। সত্য বলার সঙ্গে সঙ্গে যেন সব ধ্বংস হয়ে যায়।” এই শুনে প্রেমানন্দ মহারাজ বলেন, “আসলে জগৎ সংসার অসত্যে ভরে রয়েছে। এর মধ্যে যদি তুমি সত্যের পক্ষ নাও, তা হলে স্বাভাবিক ভাবেই তুমি একা হয়ে যাবে। তোমার পক্ষ নেওয়ার মতো কেউ থাকবে না। সত্য বললে হয়তো সেটা অনেকেই পছন্দ করবেন না। কিন্তু পরমাত্মা প্রসন্ন হবেন।”
কিছু দিন আগেই প্রেমানন্দ মহারাজের কাছে গিয়েছিলেন শিল্পা শেট্টী ও তাঁর স্বামী রাজ কুন্দ্রা। আধ্যাত্মিক গুরুর দুটি কিডনিই বিকল জানতে পেরে রাজ তাঁর একটি কিডনি দিতে চেয়েছিলেন। তবে সে প্রস্তাবে রাজি হননি আধ্যাত্মিক গুরু। তিনি জানিয়েছিলেন, ঈশ্বর যে দিন চাইবেন, তাঁকে নিজের কাছে ডেকে নেবেন।