ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
স্বাধীনতা সংগ্রামী পুরুষদের ছোট বা বড় পর্দায় নানা ভাবে দেখা গেলেও, স্বাধীনতা সংগ্রামী নারীরা সে ভাবে ধরা পড়েননি পরিচালকদের লেন্সে। এ বার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তকে নিয়ে সেটাই ভেবে ফেললেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। বীণা দাসের জীবনের অনেক পর্যায় তাঁর নতুন বায়োপিকে দেখা যাবে। বীণার কম বয়সের চেহারায় অন্য কেউ অভিনয় করলেও বাকি সব পর্যায়ে দেখা যাবে ঋতুপর্ণাকেই। সৃজিত জানিয়েছেন, বীণা দাসের বার্ধক্যের চেহারায় প্রস্থেটিকের সাহায্য নেওয়া হবে ঋতুপর্ণার মেকআপে।
১৯৩২ সালে মাত্র একুশ বছর বয়সের ছাত্রী বীণা তৎকালীন বাংলার গভর্নর স্ট্যানলি জ্যাকসনকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করেন। শাস্তিস্বরূপ ন’বছরের জেল ঘোষণা করা হয় ব্রিটিশ আদালত থেকে। তবে বীণা ১৯৩৯ সালেই কারামুক্ত হন এবং কংগ্রেসে যোগদান করে পুনরায় ব্রিটিশ শাসকের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যান। জেলবন্দি অবস্থায় বীণা বলেছিলেন যে, দেশের প্রতি গভীর ভালবাসার কারণেই গভর্নরকে হত্যা করার চেষ্টা করেন তিনি। এবং এ ভাবেই দেশের কাজে প্রাণ উৎসর্গ করার ব্রত নিয়েছিলেন বীণা। জানিয়েছিলেন, ব্রিটিশ সরকারের তৈরি করা আইনকানুন, যা দেশের মানুষকে নিজেদের দেশের মাটিতেই পরাধীন করে রেখেছে, তার প্রতিবাদ করতেই এই পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি।
ঋতুপর্ণার কথায়, ‘‘বীণা দাসের গোটা জীবনটা জানলেই বোঝা যায়, সাধারণ মানুষের কাছে কতটা শ্রদ্ধার পাত্রী ছিলেন তিনি। এ রকম একটা চরিত্রে যে সৃজিত আমার কথাই ভাববে, সেটাই স্বাভাবিক। কারণ শক্তিশালী চরিত্রই যে ও আমাকে দেয়, সেটা ‘রাজকাহিনী’র সময়েই আপনারা দেখেছেন। আশা করছি, বীণা দাস হিসেবেও মানুষ আমাকে একই রকম ভালবাসা দেবেন।’’
এই মুহূর্তে রিসার্চের কাজ শুরু করেছেন সৃজিত। এর পরে শুরু করবেন চিত্রনাট্য লেখার কাজ। তবে জানালেন, ছবির বাকি কাস্ট এখনও চূড়ান্ত নয়।