অ্যালকোহল। কেউ নাক সিঁটকোবেন, কেউ বা বলবেন, ‘ওসব একটু আধটু হতেই পারে।’ কিন্তু যদি তা নেশার পর্যায়ে যায়? কেউ যদি উন্মত্তের মতো আচরণ করেন? আর তা যদি সেলেবদের হয়? বলি সেলেবদের অনেকেই নাকি অ্যালকোহলিক। পার্টিতে গেলে নাকি তাঁদের সামলানো মুশকিল হয়। বেশ কয়েকটি বলি ম্যাগাজিন ও সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল এ সংক্রান্ত খবর
বলিউডের অভিজ্ঞ অভিনেত্রীদের মধ্যে এ প্রসঙ্গে নাম উঠে এসেছে জয়া বচ্চনের। বেশ কয়েকটি বলি ম্যাগাজিন ও সর্বভারতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছিল জয়া নিয়মিত মদ্যপান করতেন একটা সময়। যদিও তিনি তা অস্বীকার করেন।
বলিউডের অভিনেতাদের মধ্যে ঋষি কপূর নাকি মদ্যপান করতেন নিয়মিত। মদ্যপান করে স্ত্রী নীতু সিংকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। নীতু নাকি বলেছিলেন, ঋষি উন্মত্তের মতো আচরণ করতেন, কিন্তু পরবর্তীতে একটি সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ উড়িয়ে দেন কপূর দম্পতি।
রণবীর কপূরও পার্টিতে গিয়ে মদ্যপান করলে নাকি নিজেকে ঠিক রাখতে পারেন না। তিনি অ্যালকোহলিক, সর্বভারতীয় বেশ কয়েকটি ম্যাগাজিনে এমনটা প্রকাশিত হয়েছে। মদ্যপ রণবীরের কিছু ছবিও ভাইরাল হয়েছিল।
হালের বলি নায়িকাদের মধ্যে সোনম কপূর নাকি একেবারে পার্টি গার্ল। তিনি নাকি মদ্যপান করলেই বেসামাল হয়ে পড়েন। সোনমের একটি ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল। অভিনেত্রী যদিও এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
মহেশ ভট্ট একটি পত্রিকায় দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, তিনি একটা সময় নিয়মিত মদ্যপান করতেন। এবং তা নেশার পর্যায়ে চলে গিয়েছিল। কিন্তু সন্তান হওয়ার পরই নেশা থেকে দূরে সরে আসেন তিনি।
মা নার্গিসের মৃ্ত্যু কিছুতেই মানতে পারেননি বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত। নিয়মিত মদ্যপান করতেন তিনি, মাদক সেবনের অভিযোগও ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও পরবর্তীতে তিনি নেশা ত্যাগ করেছেন এবং তাঁকে এ ক্ষেত্রে অনেকে সাহায্য করেছিলেন, এমনটাই প্রকাশিত হয়েছিল বলিউডের কিছু পত্রিকায়।
রাজেশ খন্নার অ্যালকোহলের নেশাই নাকি ডিম্পলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদের কারণ, বলিউডের ম্যাগাজিন ও বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এমনটা প্রকাশ করেছিল। অঞ্জু মহেন্দ্র ও তাঁর একটি ছবি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছিল, যা দেখে রটনাকে সত্যি বলেছিলেন বি টাউনের অনেক সেলেবও।
বলি তারকাদের মধ্যে নাকি সবচেয়ে বেশি মদ্যপান করেন সলমন খান। বেশ কয়েকটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল এমনটাই। প্রতিদিন অ্যালকোহল ছাড়া চলে না, শোনা গিয়েছিল এমনটাও। যদিও সলমন পরবর্তীতে বলেছেন, পার্টিতে গেলে অ্যালকোহলের গ্লাস হাতে নিলেও তিনি কখনও চুমুক দেন না। ভদ্রতাবশত কেউ তাঁকে পানীয় নিতে প্রস্তাব দিলে তা হাতে নেন।
জাভেদ আখতার একটি টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, ১৯ বছর বয়সে প্রথম মদ্যপান করেন তিনি। পরবর্তীতে বেশি না হলেও রোজ মদ্যপানের অভ্যাস দাঁড়িয়ে গিয়েছিল তাঁর। বহু বছর নাকি এই নেশা থেকে সরে আসেন তিনি।
বিদ্যা বালন ও মনীষা কৈরালা সম্পর্কে শোনা যায়, দু’জনেই নাকি সামান্য মদ্যপান করলেই বেসামাল হয়ে পড়েন। পার্টিতে গেলেও অনেকটা মদ্যপান করেন, এমনটাও বলেন বি টাউনের কেউ কেউ।
হৃত্বিক রোশনের সম্পর্কেও শোনা গিয়েছে অ্যালকোহল আসক্তির কথা। তিনি ও সুজান দু’জনেই নাকি একটা সময় মারাত্মক মদ্যপান করতেন। পরে যদিও হৃত্বিক স্বাস্থ্যের কারণেই অ্যালকোহল থেকে সরে আসেন। আমিশা পটেলের সঙ্গেও তাঁর একটি ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।
করিনা কপূর ও সইফ আলি খান নিয়মিত মদ্যপান করতেন, এমনটাই রটেছিল বি টাউনে। যদিও দম্পতি এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তবে করিনার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়, তা দেখে অনেকেই বলেছিলেন করিনাকে স্বাভাবিক লাগছে না।