আরিয়ানের ঘটনার পরে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েন সমীর ওয়াংখেড়ে। ছবি: সংগৃহীত।
চার বছর আগে মাদকযোগের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরিয়ান খান। বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল সেই ঘটনায়। সেই বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন এনসিবি (নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো) আধিকারিক সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানের ঘটনার পরে তাঁর উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে ঝড়। জানিয়েছেন তিনি।
কখনও আরিয়ানের ফ্যান ক্লাব থেকে ধেয়ে এসেছে কটাক্ষ। সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে তাঁকে নিয়ে হয়েছে ব্যঙ্গ। এমনকি, নিজের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় ছিলেন বলে জানিয়েছেন সমীর। সমাজমাধ্যমে কিছু বিষয়ে রাশ টানার জন্য কিছু নিয়মকানুন তৈরি করা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
সমীরের দাবি, প্রভাবশালী ও ধনী ব্যক্তিরা ফ্যান ক্লাবের পিছনে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ করেন। এই ফ্যান ক্লাবের জন্যই মানুষের ধারণা বদলে যায়। আসল ঘটনা প্রকাশ্যে আসে না। এই ধরনের ফ্যান ক্লাবের পক্ষ থেকেই নানা রকমের তির্যক মন্তব্য ধেয়ে এসেছে সমীরের বিরুদ্ধে। তা হলে এই ফ্যান ক্লাবগুলির বিরুদ্ধে কেন সাইবার অপরাধ দমন দফতর থেকে পদক্ষেপ করা হয় না? প্রশ্ন করা হয় সমীরকে। তখন তিনি জানান, তথ্যপ্রযুক্তি আইন এই ধরনের বেশ কিছু ঘটনার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে ঠিকই। তবে নেটমাধ্যম প্রতিদিন বদলাচ্ছে, তাই আইনেরও বিবর্তন হচ্ছে। কিন্তু সমাজমাধ্যমে হুমকি, ব্যঙ্গ-রসিকতার বিরুদ্ধে আরও ভাল করে আইনি পদক্ষেপ করা উচিত বলে তাঁর মত।
একের পর এক তির্যক মন্তব্যের জেরে মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব প়ড়েছিল বলে জানিয়েছেন সমীর ওয়াংখেড়ে। ফ্যান ক্লাবগুলি মন্তব্য করার সময়ে সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছিল, গালাগাল করতেও বাকি রাখেনি। এমনকি, সমীর ওয়াংখেড়ের পরিবারের মহিলা ও শিশুদের আক্রমণ করেও কটাক্ষ করা হয়েছিল। ওয়াংখেড়ে জানান, জীবনের এই অধ্যায় তাঁকে আরও শক্তিশালী করেছে। কিন্তু এমন হেনস্থা অনেকেই সচরাচর সামাল দিতে পারতেন না বলে মনে করেন তিনি।
একজন ব্যক্তিই ফ্যান ক্লাবের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের মতামত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, দাবি সমীরের। তাই নিজের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তায় থাকতেন তিনি।
২০২১ সালের ২৮ অক্টোবর জামিন পেয়েছিলেন আরিয়ান খান। গ্রেফতার হওয়ার তিন সপ্তাহ পরে জামিন পেয়েছিলেন তিনি। ২০২২ সালের মে মাসে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল আরিয়ানকে।