অসম্ভব ব্যক্তিত্বময়ী

আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটা পারিবারিক। বলছেন সন্দীপ রায়আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটা পারিবারিক। বলছেন সন্দীপ রায়

Advertisement
শেষ আপডেট: ০৪ জুন ২০১৯ ০০:১০
Share:

সত্যজিতের জন্মদিনে

আমাদের পরিবারের সঙ্গে রুমাদির গভীর সম্পর্ক। ও আমার মাসতুতো দিদি। তাই অনেক স্মৃতি। আমার কাছে রুমাদি মানে দারুণ অভিনেত্রী, গায়িকা, এক ব্যক্তিত্বময়ী মহিলা। সত্যি কথা বলতে কী, ক্যালকাটা ইয়ুথ কয়্যার ওর হাতেই তো তৈরি। সেই সময়ে ও রকম কোনও কিছু ছিলই না।

Advertisement

রুমাদিকে দেখে মনে হতো ভারী কড়া মানুষ। কিন্তু ওর মনটা ছিল নরমসরম। সকলকে সহজে আপন করে নিতে পারত। দেখেছি, নিয়মিত সকলের খোঁজখবর রাখত। কিশোরকুমারের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে অমিতকুমারকে নিয়ে রুমাদি চলে আসে কলকাতায়। তখন ওর মন বেশ খারাপ। পরে আস্তে আস্তে সয়ে যায় দুঃখ। আমাদের বাড়ি প্রায়শই আসত। সে এক জমজমাট সময়।

বাবার দুটো ছবিতে অভিনয় করেছিল রুমাদি। ‘অভিযান’ ও ‘গণশত্রু’। আর ‘তিন কন্যা’র ‘মণিহারা’য় খালি গলায় কী অসাধারণ গেয়েছিলেন ‘বাজে করুণ সুরে’... বাবা-মা দু’জনের কাছে এসে গান শিখে নিতেন। যদিও মায়ের (বিজয়া রায়) সঙ্গে বন্ডিংটা বেশি জোরালো ছিল।

Advertisement

‘গণশত্রু’র সময়ে বাবা অসুস্থ ছিলেন। একটা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করার পাশাপাশি ফ্লোরে বাবার ভীষণ খেয়াল রাখত দিদি। রুমাদি ছিল সকলের প্রিয়। আজ ওর চলে যাওয়াটা অপূরণীয় ক্ষতি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন