জয়ের মৃত্যুতে কী বললেন শতাব্দী? ছবি: সংগৃহীত।
মারা গেলেন অভিনেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়ের দশকে একাধিক হিট ছবির নায়ক। সেই সময় ছিপছিপে চেহারা, চোখেমুখে লেগে থাকা সারল্য যেন ইউএসপি হয়ে ওঠে জয়ের। অঞ্জন চৌধুরী থেকে সুখেন দাসের মতো পরিচালকদের পরিবারভিত্তিক ছবিতে জয়ের উত্থান ছিল ধূমকেতুর মতো। তার পরে আচমকাই হারিয়ে যান এক দিন। এর পরে বিবাহবিচ্ছেদ, মদে আসক্তি এবং সেই সঙ্গে ‘অমার্জিত’ আচরণের অভিযোগের জেরে বার বার শিরোনামে উঠে আসেন। তাঁর সহ-অভিনেত্রী ছিলেন শতাব্দী রায়ও। তার পর ২০১৪ সালে রাজনীতির ময়দানে তাঁর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ান জয়। অভিনেতার মৃত্যুর পর স্মৃতি রোমন্থনে শতাব্দী।
শতাব্দীর কথায়, ‘‘ও নিজের জীবনটাকে অগোছালো করে রেখেছিল। যেটাকে ওর জীবন ভেবেছিল, সেটা একেবারে ভুল। প্রচুর মদ খেত, নেশায় ডুবে থাকত। ফলে ও জীবনটাকে সুস্থ রাখল না। এটা তো ওর চলে যাওয়ার বয়স নয়। নিজের উপর অত্যাচার করেছে বলে আমার মনে হয়।’’ যদিও গত এক বছর ধরে জয়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগে ছিলেন বলেই জানান শতাব্দী। শুধু তা-ই নয়, অভিনেতার বোনের সঙ্গে প্রায়ই কথা হত অভিনেত্রীর। জয়ের মৃত্যুর খবর তিনি পান অভিনেতার বোনের কাছ থেকেই। শতাব্দীর কথায়, ‘‘এত ভাল পরিবারের ছেলে। কিন্তু নিজেকে এ ভাবে শেষ করে দিল। বলা যেতে পারে, নিজেই নিজের মৃত্যুকে কাছে ডেকেছে। ভুল পথে চালিত করেছে জীবনটাকে। ওর এই জীবনযাপন কাজেও প্রভাব ফেলেছিল। একটা মানুষ যদি এতটা নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে, সেই খবরও তো ছড়িয়ে যায়। সেজন্য তো লোকে কাজে নিতে ভয় পেত।’’
সিনেমায় কাজ করার সময় বন্ধুত্বের সম্পর্ক থাকলেও মাঝে শতাব্দী ও জয়ের সম্পর্কের অবনতি হয়। মুখ দেখাদেখিও বন্ধ ছিল। অভিনেত্রীর কথায়, ‘‘ও যখন লোকসভা ভোটে আমার বিপক্ষে দাঁড়ায় তখন খুব আজেবাজে কথা বলতে শুরু করে। আসলে ভুল ভাবে রাজনীতিটা করতে গিয়েছিল। সেই সময় একদম যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। পরে ও অসুস্থ হওয়ার পরে ফোন করে আমাকে। তার পর থেকে কথা হত প্রায় নিয়মিতই।’’ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে অভিনেত্রী আক্ষেপের সুরে জানান, জয় শেষ জীবনেও নাকি চিকিৎসকের কথা মানতে নারাজ ছিলেন। সেটাই যেন ‘কাল’ হল বলে মনে করেন শতাব্দী।