শাকিব-বুবলীর মেলবন্ধন। ছবি: সংগৃহীত।
শাকিব খানকে নিয়ে তাঁর দুই স্ত্রী অপু বিশ্বাস ও বুবলীর মধ্যে অদৃশ্য প্রতিযোগিতার কথা সকলেরই প্রায় জানা। দুই সতীন একে অপরকে নিয়ে নানা মন্তব্য করেছেন। শাকিব আসলে কার, এই নিয়ে দড়ি টানাটানি দুই পক্ষের! কখনও অভিনেতাকে দেখা যায় প্রথম স্ত্রী অপুর সঙ্গে বিদেশে ভ্রমণে বা ইদের কেনাকাটায়। তখন খানিক অন্তরালে থাকেন বুবলী। যদিও অপু শাকিবকে নিয়ে কোনও পোস্ট দিলেই সঙ্গে সঙ্গে বুবলীর তরফেও কোনও না কোনও পোস্ট আসে শাকিবকে নিয়ে।
গত কয়েক মাস ধরেই জল্পনা ছিল প্রথম স্ত্রী অপুর সঙ্গে নাকি ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে শাকিবের। এ বার যেন গুগলি দিলেন বুবলী। আমেরিকায় শাকিবের সঙ্গে ছেলে বীরকে নিয়ে ঘুরতে গেলেন তিনি। সেখানেই বুবলীকে উষ্ণ পরশে বুকে টেনে নিলেন শাকিব! এই ছবি সমাজমাধ্যমে ভাইরাল। সত্যিই কি অপুকে ভুলে বুবলীর কাছে প্রত্যাবর্তন শাকিবের!
বুবলীর কাছে ফিরলেন শাকিব! ছবি: সংগৃহীত।
শাকিবের দুই স্ত্রী। দু’জনেই নাকি তাঁর প্রাক্তন। কারণ দু’জনের সঙ্গেই বিচ্ছেদে হয়ে গিয়েছে। যদিও দুই পক্ষের দুটি ছেলে রয়েছে শাকিবের। অভিনেতা একাধিকবার প্রকাশ্যে দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলীর অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন। সাফ জানিয়েছেন, বুবলীর সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক নেই। সংবাদমাধ্যমের সামনে এসে একসময় শাকিবকে নিয়ে একাধিক মন্তব্য করেন বুবলী। আমেরিকায় সন্তান জন্মের সময়ে যে চূড়ান্ত অবহেলা পেয়েছেন শাকিবের থেকে, তা-ও জানিয়েছেন। যদিও শাকিব তাঁর জীবনে প্রথম স্ত্রী অপুর অস্তিত্বের কথা কখনওই অস্বীকার করেননি। বরং বরাবর জানিয়েছেন তাঁদের সমীকরণ কেমন।
কিন্তু সতীন অপুকে পিছনে ফেলে যেন কয়েক ধাপ এগিয়ে গেলেন বুবলী। ছেলে শেহজাদ খান বীর ও শাকিবকে নিয়ে আমেরিকায় একান্তে ছুটি কাটাচ্ছেন বুবলী। সেখান থেকে একগুচ্ছ ছবি দিয়েছেন বুবলী। কখনও শাকিবের সঙ্গে হাত ধরে হাঁটছেন, কখনও তিন জনে ঘুরছেন, কখনও আবার বুবলীকে উষ্ণ আলিঙ্গন করছেন শাকিব। প্রতিটি ছবিতেই সুখী দাম্পত্যের ঝলক।
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডট কমের তরফে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। এ দিকে শাকিব-ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, অভিনেতা যা-ই করেন সবটাই সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে। বাবা হিসেবে সন্তানদের প্রতি অসম্ভব স্নেহশীল তিনি। কোনও ভাবেই যাতে ভাঙা দাম্পত্যের ছাপ না পড়ে সন্তানদের উপর, তা নিশ্চিত করতেই প্রাক্তন দুই স্ত্রীর সঙ্গেই সৌজন্য সম্পর্ক বজায় রাখেন। যদিও বুবলী-ঘনিষ্ঠ পরিচালক চয়নিকা চৌধুরী তাঁদের ছবি দেখে লেখেন, ‘‘কখনও কখনও জীবনে ফিরে আসাটা সবচেয়ে সাহসী কাজ। আর একবার যখন দুটি আত্মা একসঙ্গে মিশে যায়, তখন সেটাকে আর ফিরে আসা বলা যায় না — ওটা হয় চিরস্থায়ী ভালবাসার মেলবন্ধন।’’