বৈঠকী আড্ডায় সারা আলি খান, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, আদিত্য রায় কপূর। ছবি: সংগৃহীত।
রথযাত্রার আগের দিন, বৃহস্পতিবার সারা আলি খান এবং আদিত্য রায় কপূর পা রেখেছিলেন শহর কলকাতায়। উপলক্ষ, তাঁদের আগামী ছবি ‘মেট্রো... ইন দিনো’র প্রচার। ছবিতে পরিচালক অনুরাগ বসু চারটি শহরে চার দম্পতির প্রেম-অপ্রেমের গল্প বুনেছেন। তাঁদেরই একটি জুটি সারা-আদিত্য। এ দিন তাঁরা নৈশভোজ সারেন সৌরভের বাড়িতে। আলুপোস্ত, মাছ, আম তাঁদের পাতে সাজিয়ে দিয়েছিলেন ‘মহারাজ’-এর মা নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। খাওয়ার টেবিলে দারুণ আড্ডা জমেছিল। সৌরভ কথায় কথায় সারাকে জানান, কী ভাবে অভিনেত্রীর দাদু-ঠাকুমা মনসুর আলি খান পটৌডি-শর্মিলা ঠাকুর এই শহরের বুকে জমিয়ে প্রেম করতেন। সে কথা সারা নিজের মুখে শুনিয়েছেন আনন্দবাজার ডট কমকে।
সৌরভও অবশ্য নিজের চোখে দেখেননি প্রয়াত ভারতীয় ক্রিকেটার আর অভিনেত্রীর প্রেম। তিনিও এই গল্প শুনেছেন অনেকের মুখে। কিন্তু সারা কি দাদু-ঠাকুমার ভালবাসার গল্প জানেন? তাই আরও একবার বৈঠকী মেজাজে তুলে ধরেন সে কথা। বিশেষ করে সারাও যখন অনুরাগের প্রেমের ছবির নায়িকা।
“দাদা বললেন, দাদু নাকি কলকাতায় এলেই ঠাকুমা লুকিয়ে দেখা করতেন তাঁর সঙ্গে। দাদু এবং তাঁর সহ খেলোয়াড়দের হোটেল থেকে স্টেডিয়ামে আনা-নেওয়া করত বাস। ঠাকুমা নাকি ট্যাক্সিতে চেপে ওই বাসের পিছনে ধাওয়া করতেন! এ ভাবেই যতক্ষণ দাদুকে দেখা যায়” এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের মুখে আর এক প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট অধিনায়কের প্রেম কাহিনি শুনে আপ্লুত সারা। জানিয়েছেন, দাদুর কারণে তাঁর শরীরেও ক্রিকেটীয় রক্ত। তিনি ভালবাসেন এই খেলা দেখতে। তাই ছবির প্রচারের ফাঁকে পৌঁছে গিয়েছিলেন ইডেন গার্ডেন্সে। একই ভাবে ঠাকুমার মতো তিনিও অভিনয়কে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছেন।
খাওয়ার টেবিলে সৌরভ, আদিত্য, সারা। তদারকিতে নিরূপা গঙ্গোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত।