miss jojo

বিদেশের মতো নিয়ম এ দেশেও থাকলে আরও তিন-চার জন শিশুকে দত্তক নিতে চাই: জোজো

ছেলে আদিকে নিয়ে একেবারে অন্যরকম ভাবে জীবন কাটছে সঙ্গীতশিল্পী জোজোর। সুযোগ পেলে মায়ের অনুষ্ঠানও দেখতে যায় সে। শিশু দিবসে জীবন বদলানোর গল্প বললেন গায়িকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:৩৩
Share:

ছেলে আদির জন্য কি বদলে গিয়েছেন জোজো? ছবি: সংগৃহীত।

আর পাঁচ জন শিশুর মতো কাটেনি তাঁর ছোটবেলা। তাই নিজের সন্তানদের সাজানো-গোছানো শৈশব দিতেই চেয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী জোজো। ১৯৯৬ সালে মেয়ের মা হয়েছিলেন তিনি। তার প্রায় ২৩ বছর পর ছেলের মা হয়েছেন তিনি। ২০১৯ সালে ছেলে আদিকে দত্তক নেন তিনি। তার পর থেকেই জীবনটা বদলে গিয়েছে। শিশু দিবসে সেই কাহিনি শোনালেন গায়িকা।

Advertisement

যখন কন্যাসন্তানের জন্ম দেন, তখন গায়িকার বয়সও অনেকটা কম। তিনি বলেন, “আদি যখন আসে আমার জীবনে, তখন সব কিছুই ভুলে গিয়েছিলাম। তাই ইউটিউব দেখে অনেক কিছুই করতে হয়েছিল আমায়। জীবনে আদির আসা আমার অনেক কিছুই বদলে দিয়েছে।” মাকে ছেড়ে ছেলে এক মুহূর্ত থাকতে পারে না। আদির জন্য অনেক কিছু পরিবর্তন এসেছে জোজোর জীবনে। গায়িকা বলেন, “কাজের ব্যস্ততা থাকলেও চেষ্টা করি আদির জন্য কিছু না কিছু রান্না করতে। বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা, আড্ডা দেওয়ার সময়ও কমে গিয়েছে। বরং ছেলের সঙ্গে ওর প্লেস্কুলের রঙিন প্রজেক্ট ভাল লাগে। আসলে ছোটবেলাটা অন্য রকম ছিল, তাই শিশুদের সঙ্গে মিশলে ভাল লাগে।”

ছেলেকে বাড়িতে রেখে মাঝে কাজে যাওয়াও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর। জোজো যোগ করেন, “উপায় থাকলে আগামী দিনে আমি আরও তিন-চার জন শিশুকে দত্তক নিতে চাই। একসঙ্গে থাকব। বড় করব।” এই বছরের শিশু দিবস তিনি শিশুদের মাঝেই কাটাবেন। ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে আক্রান্ত শিশুদের সঙ্গে সময় কাটাবেন। গান গাইবেন। হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা শিশুদের জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন, জানালেন গায়িকা। একটা অন্য রকম দিন উপহার দেওয়াই তাঁর মুখ্য উদ্দেশ্য।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement